ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৩ মিনিট আগে
শিরোনাম

নিয়মিত ইটভাটা পরিদর্শনে ডিসি-ইউএনওদের নির্দেশ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৯:৪৩  
আপডেট :
 ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২১, ২০:১২

নিয়মিত ইটভাটা পরিদর্শনে ডিসি-ইউএনওদের নির্দেশ
পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম

ইটসহ নির্মাণ সামগ্রী উৎপাদনে গুণগতমান নিশ্চিত করা হচ্ছে কিনা তা তদারকি ও নিয়মিত পরিদর্শনের জন্য জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সহ সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।

রোববার স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত রাস্তা ও ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে গুণগত মানসম্পন্ন ও স্ট্যান্ডার্ড সাইজের ইটের সরবরাহ নিশ্চিতকরণ সভায় তিনি এ নির্দেশ দেন।

তাজুল ইসলাম বলেন, নির্মাণ সামগ্রী উৎপাদনে গুণগতমান নিশ্চিত করা হচ্ছে কিনা তা তদারকি করতে হবে। সংশ্লিষ্টদের নিয়মিত পরিদর্শন করতে হবে। ইটের গুণগত ও সাইজ ঠিক না করে উৎপাদন করলে ভাটা মালিকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

তিনি বলেন, বিটুমিন, ইট, বালুসহ নির্মাণে প্রয়োজনীয় উপাদান ঠিক আছে কিনা সেগুলো পরীক্ষা নিরীক্ষা করার জন্য প্রতিটি উপজেলায় এলজিইডি’র টেস্টিং ল্যাব রয়েছে। এছাড়া অন স্পটে নির্মাণ সামগ্রী পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে মোবাইল ল্যাবরেটরীও রয়েছে। এগুলোকে আরও অধিক কার্যকর করতে হবে।

এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ২০২৪ সালের মধ্যে রাস্তা ও ভবন নির্মাণে গতানুগতিক ইটের পরিবর্তে পরিবেশবান্ধব ইটের ব্যবহার নিশ্চিত করতে কাজ করছে সরকার। পরিবেশবান্ধব ইট উৎপাদনে যে সমস্ত ইটভাটার মালিকরা যুক্ত থাকবেন তাদেরকে বিভিন্নভাবে সুযোগ-সুবিধা দেয়া হবে।

এসময় দেশের সকল রাস্তা ও ভবন নির্মাণে গুণগত মানসম্পন্ন ও স্ট্যান্ডার্ড সাইজের ইট তৈরি এবং সরবরাহ নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, যে সমস্ত রাস্তা-ঘাট, ব্রিজ-কালভার্ট, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন ভবন নির্মাণ করা হবে এসব যদি গুণগত মানসম্পন্ন অর্থাৎ টেকসই করা সম্ভব না হয় এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত দুর্ভাগ্যের।

তিনি বলেন, প্রয়োজনীয় নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করার পরও গুণগতমানের সামান্য ত্রুটির কারণে ভবন বা যেকোনো কনস্ট্রাকশন টেকসই হয় না। আমরা যদি মানসম্পন্ন ও স্ট্যান্ডার্ড সাইজের ইটসহ অন্যান্য উপাদান নিশ্চিত করতে পারি তাহলে কাজগুলো টেকসই হবে।

মন্ত্রী জানান, এলজিইডি’র সকল রাস্তা, ব্রিজ এবং অন্যান্য অবকাঠামো টেকসই করার জন্য সর্বোচ্চ গুরুত্ব প্রদান করা হচ্ছে। এ লক্ষ্যে ডিজাইনে পরিবর্তন আনার পাশাপাশি ব্যয়ের পরিমাণ বৃদ্ধি করা হয়েছে। এসময় এলজিইডির ন্যায় দেশের সকল পৌরসভা এবং সিটি করপোরেশনের অন্তর্ভুক্ত রাস্তাগুলোকে আইডিভুক্ত করার প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

সভায় গৃহায়ণ ও গণপূর্ত সচিব, এলজিইডি ও ডিপিএইচই'র প্রধান প্রকৌশলী, মন্ত্রী পরিষদ বিভাগ, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়, বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার বিভাগ ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিবৃন্দ এবং কয়েকটি জেলার জেলা প্রশাসকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ জার্নাল/এমআর/এমএ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত