ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২ মিনিট আগে
শিরোনাম

চট্টগ্রামে পরিবহন ধর্মঘট, বন্দরে অচলাবস্থা

  চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

প্রকাশ : ২১ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৩:৪৬  
আপডেট :
 ২১ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৪:০৪

চট্টগ্রামে পরিবহন ধর্মঘট, বন্দরে অচলাবস্থা
ফাইল ছবি

১৫ দফা দাবিতে কর্মবিরতি পালন করছে চট্টগ্রাম ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ এবং প্রাইম মুভার শ্রমিক ইউনিয়ন। এতে পণ্যবাহী গাড়ি বন্ধ রাখায় অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বন্দরে।

মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে এ কর্মবিরতি শুরু হয়েছে। ৭২ ঘণ্টা কর্মবিরতি চলবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

সকালে কর্মবিরতি শুরুর পর থেকে বন্দরে কোনো পণ্যবাহী গাড়ি ঢুকতে পারেনি। একইভাবে বন্দর থেকে পণ্য নিয়ে কোনো গাড়ি বেরও হচ্ছে না।

এর ফলে বন্দরের এনসিটি, সিসিটি ও জিসিবির জেটি ও ইয়ার্ডে লোড-আনলোডে অনিশ্চয়তার সৃষ্টি হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে আমদানিকারক, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট, শিপিং এজেন্টসহ বন্দর ব্যবহারকারীদের মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।

চট্টগ্রাম প্রাইম মুভার শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. মাইনুদ্দিন বলেন, ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ ১৫ দফা দাবিতে ৭২ ঘণ্টা ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে। আমরা তাদের ডাকে সাড়া দিয়ে পরিবহন বন্ধ রেখেছি।

এদিকে ধর্মঘটের সমর্থনে সল্টগোলা এলাকায় মিছিল-সমাবেশ করেছে শ্রমিকরা। এ সময় তারা ১৫ দফা দাবি মেনে নেওয়ার আহ্বান জানান।

১৫ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে- মোটরযান মালিকদের ওপর আরোপিত অগ্রিম আয়কর বা বর্ধিত আয়কর অবিলম্বে বাতিল করতে হবে; ইতোমধ্যে আদায় করা বর্ধিত কর স্ব স্ব মালিককে ফেরত দিতে হবে; পুলিশের ঘুষ বাণিজ্যসহ সব ধরনের হয়রানি বন্ধ করতে হবে; গাড়ির কাগজপত্র চেকিংয়ের জন্য নির্দিষ্ট স্থান নির্ধারণ করতে হবে; যেসব চালক ভারী মোটরযান চালাচ্ছে তাদের সহজ শর্তে এবং সরকারি ফি এর বিনিময়ে অবিলম্বে ভারী ড্রাইভিং লাইসেন্স দিতে হবে; সব শ্রেণির মোটরযানে নিয়োজিত সড়ক পরিবহন শ্রমিকদের রাষ্ট্রীয় বাহিনীর মতো রেশনিং সুবিধার আওতায় আনতে হবে।

এছাড়া চট্টগ্রামে অবস্থিত ট্রান্সপোর্ট এজেন্সি মনোনীত প্রতিনিধি এবং সব ড্রাইভার ও সহকারীকে চট্টগ্রাম বন্দরে হয়রানিমুক্ত প্রবেশের সুবিধার্থে বাৎসরিক নবায়নযোগ্য বায়োমেট্রিক স্মার্টকার্ড দিতে হবে; প্রতি ৫০ কিলোমিটার পরপর পণ্যপরিবহন শ্রমিকদের জন্য দেশের সড়ক-মহাসড়কের নিরাপদ দূরত্বে বিশ্রামাগার ও কার্ভাডভ্যান-ট্রাক-প্রাইমমুভার টার্মিনাল নির্মাণ করতে হবে; সারাদেশের জন্য একই পরিমাণ ওজন নির্ধারণ করে অতিরিক্ত (ওভারলোড) পণ্যপরিবহন বন্ধে লোডিং পয়েন্ট তথা পণ্যপরিবহনের উৎসস্থলে সরকার নির্ধারিত ওজন নিশ্চিত করে পণ্যবাহী গাড়িগুলোতে মালামাল লোড করতে হবে; লোড করা গাড়িগুলোকে উৎসস্থলে পণ্যের ওজনস্লিপ দিতে হবে।

বাংলাদেশ জার্নাল/আর

  • সর্বশেষ
  • পঠিত