ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৩৩ মিনিট আগে
শিরোনাম

নামিদামি অফিসে দুর্ধর্ষ চুরি করতো চক্রটি

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ২১ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৫:০৭

নামিদামি অফিসে দুর্ধর্ষ চুরি করতো চক্রটি
ছবি- প্রতিনিধি

রাজধানীর উত্তরা প্যারাডাইস টাওয়ারে চুরির ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে সংঘবদ্ধ চোর চক্রের ৭ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা উত্তরা বিভাগ।

গ্রেপ্তারদের দেওয়া তথ্যের বরাতে পুলিশ বলছে, চক্রটি ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় সুউচ্চ টাওয়ারে অবস্থিত বিভিন্ন নামিদামি অফিসে চুরি করত। ​সেবা গ্রহীতার বেশে তারা প্রথমে টার্গেট করা অফিসে ২-৩ দিন ধরে রেকি করে চুরির কৌশল ঠিক করত। তারপর অফিসের তালা, সিকিউরিটি লক, ডিজিটাল লক ও ড্রয়ার ভেঙ্গে মূল্যবান মালামাল ও টাকা পয়সা চুরি করে সুকৌশলে বের হয়ে যেত।

সোমবার রাজধানীর ডেমরা ও কুমিল্লা জেলার কান্দিরপাড় এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তাররা হলো- মো. জামাল উদ্দিন, শফিক ভূইয়া ওরফে বাছা, জসিম উদ্দীন, কাদের কিবরিয়া ওরফে বাবু, মো. শাকিল, আলামিন ও মুক্তা আক্তার।

​এ সময় তাদের কাছ থেকে চুরির কাজে ব্যবহৃত ১টি হাতুড়ি, ১টি লোহার রেঞ্জ, ৩টি হ্যাক্সো ব্লেড ১টি প্লায়ার্স, ৩টি স্ক্রু ড্রাইভার, ২০টি সীম কার্ড উদ্ধার করা হয়।

মঙ্গলবার দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান ডিবির যুগ্ম পুলিশ কমিশনার মো. মাহবুব আলম এসব তথ্য।

ডিবির যুগ্ম পুলিশ কমিশনার বলেন, গত ১১ জুন ঢাকা মহানগরীর উত্তরা পশ্চিম থানার প্যারাডাইস টাওয়ারের ৮ম তলায় গোল্ডেন টাচ ইমপোর্টার্সের অফিসে চুরির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গত ১৩ জুন উত্তরা পশ্চিম থানায় একটি মামলা হয়। মামলার ছায়া তদন্ত শুরু করে গোয়েন্দা উত্তরা বিভাগের উত্তরা জোনাল টিম। মামলা তদন্তে ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় এ চুরির ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করা হয়।

তিনি বলেন, গ্রেপ্তাররা ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় সুউচ্চ টাওয়ারে অবস্থিত বিভিন্ন নামিদামি অফিসে চুরি করার জন্য টার্গেট করে। সেবা গ্রহীতার বেশে এই চোর চক্রের সদস্যরা প্রথমে টার্গেটকৃত অফিসকে ২-৩ দিন ব্যাপী রেকি করার মাধ্যমে চুরির কৌশল রপ্ত করে। টার্গেটকৃত এ সকল অফিসের তালা, সিকিউরিটি লক, ডিজিটাল লক ও অফিস কক্ষের ড্রয়ার ভেঙ্গে মূল্যবান মালামাল ও টাকা পয়সা চুরি করে সুকৌশলে বের হয়ে চলে যায়।

তিনি আরও বলেন, গ্রেপ্তাররা আদাবর টাওয়ারের ৪র্থ তলার এক্সপার্ট গ্রুপে, কাকরাইল নাসির উদ্দিন টাওয়ারের ১০ম তলায় আমিন গ্রুপে, গুলশান জব্বার টাওয়ারের ১৯ তলায় এসিউর গ্রুপে, বাড্ডা রূপায়ন টাওয়ারের ৬ষ্ঠ তলায় অবস্থিত সফট লিংক কোম্পানীতে ও ৭ম তলায় অবস্থিত এক্সজিবল কোম্পানীর অফিসে চুরি করেছে এমন প্রাথমিক তথ্য পাওয়া গেছে। উক্ত ঘটনাস্থলসমূহের সংগৃহীত সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনায় এর প্রমাণ পাওয়া যায়।

সিসিটিভি মনিটরিংয়ের ঘাটতি রয়েছে জানিয়ে তিন বলেন, এই মামলা তদন্তে বোঝা যায় যে সুউচ্চ ভবনের অফিস গুলোতে স্থাপিত সিসিটিভি কেন্দ্রীয়ভাবে মনিটর করা হয়না। যার কারণে এসব অফিসে চুরি করা সহজ হয়ে যায়। অফিস কিংবা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে স্থাপিত সিসিটিভি মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য অফিস মালিক ও ব্যবসায়ীদের প্রতি আহবান জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।

এফজে/আর

  • সর্বশেষ
  • পঠিত