ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৮ মিনিট আগে
শিরোনাম

৭০ বছর পর দেখা হবে মা-ছেলের

  জার্নাল ডেস্ক

প্রকাশ : ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০৯:০৬  
আপডেট :
 ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০৯:৩৪

৭০ বছর পর দেখা হবে মা-ছেলের
৭০ বছর আগে হারিয়ে যাওয়া কুদ্দুস মোল্লাহ

রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার বারুইপাড়ার আব্দুল কুদ্দুস মুন্সী ৭০ বছর পর নিজের পরিবার ও স্বজনদের খুঁজে পেয়েছেন। ছেলের আশায় এখনও পথ চেয়ে আছেন আব্দুল কুদ্দুসের শতবর্ষী মা। এ পথ চাওয়ার অবসান হতে যাচ্ছে আজ। আব্দুল কুদ্দুস শনিবার মায়ের সাথে দেখা করতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া যাচ্ছেন বলে জানান।

দিন দশেক আগে আইয়ূব আলী নামের পরিচিত একজনের ফেসবুক আইডিতে হারিয়ে যাওয়ার গল্প বলেন আব্দুল কুদ্দুস। তিনি শুধু বাবা-মা ও নিজ গ্রাম বাড্ডার নাম বলতে পারেন। পরে ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিও দেখে দেশ-বিদেশে ছড়িয়ে থাকা বাড্ডা গ্রামের বাসিন্দারা সাড়া দিতে থাকেন। এক পর্যায়ে আব্দুল কুদ্দুসকে খুঁজে পান তার পরিবারের সদস্যরা।

৭০ বছর আগে পুলিশ সদস্য চাচার সাথে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে রাজশাহীর বাগমারায় বেড়াতে এসে হারিয়ে যান ১০ বছর বয়সী আব্দুল কুদ্দুস মুন্সি। অনেক খোঁজা-খুঁজির পরও তাকে না পাওয়া যায়নি। পরে তার পরিবারের সদস্যরা মনে করেন সম্পত্তির লোভে হয়তো বেড়াতে নেয়ার নাম করে তাদের একমাত্র সন্তান আব্দুল কুদ্দুসকে হত্যা করেছেন তার চাচা। ১০ বছরের সেই ছোট্ট শিশুটি আজ ৮০ বছরের বৃদ্ধ।

আব্দুল কুদ্দুসের স্বজনরা জানান, এখনও জীবিত আছেন তার শতবর্ষী মা ও এক বোন। এরই মধ্যে মায়ের সাথে ভিডিও কলে কথাও বলেছেন আব্দুল কুদ্দুস। আর এত বছর পর নিজের পরিবারকে খুঁজে পাওয়ায় খুশি আব্দুল কুদ্দুসের স্ত্রী-সন্তানরাও।

আইয়ুব আলী বলেন, গত ১২ এপ্রিল ৭০ বছর আগে হারিয়ে যাওয়ার আব্দুল কুদ্দুসের একটি ভিডিও আমার ফেসবুক পেজে আপলোড করি। আর ওই পোস্টের উপরে লিখে ছিলাম যে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবিনগর থানার এই বৃদ্ধ আজ থেকে প্রায় ৭০ বছর আগে হারিয়ে গিয়ে পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন। কেউ যদি তার কথা শুনে চিনতে পারেন। এরপর বহু মানুষ সেই পোস্ট শেয়ার করেন। বিদেশে ওই এলাকার কিছু মানুষ আমার ফ্রেন্ড লিস্টে আছেন। তাদের শেয়ারের মাধ্যমে আব্দুল কুদ্দুসের সন্ধান পান তার পরিবার।

আব্দুল কুদ্দুস জানান, চাচার সাথে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে বাগমারা থানায় বেড়াতে এসে হারিয়ে যাই। তারপর আত্রায়েরই সিংসাড়া গ্রামে কোনভাবে চলে আসি। বাগমারা বারুইপাড়া গ্রামের এক নারীর সঙ্গে আমার বিয়ে হয়। আমার তিন ছেলে ও এক মেয়ে আছে। পরে এখানেই আমি বাড়িঘর করে স্থায়ী হয়ে যাই।

তিনি আরও বলেন, মায়ের সাথে ভিডিও কলে কথা বলার সময় মা বলেন তুই আমার হারিয়ে যাওয়া কুদ্দুস। তোর ছোট বেলায় হাত কেটে গিয়েছিল। এ কথা শুনে আমি জিজ্ঞাসা করি কোন হাত কেটে গিয়েছিল, তখন মা বলে বাম হাতের বুড়া আঙ্গুলে কেটে গিয়েছিল, তখন আমার মাথা খারাপ হয়ে যায়। আমি পুরোপুরি নিশ্চিত হয়ে যাই উনিই আমার মা।

বাংলাদেশ জার্নাল/জেবি

  • সর্বশেষ
  • পঠিত