যবিপ্রবি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ, তদন্তে ইউজিসি
যবিপ্রবি প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৫:২৪
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি)পরিকল্পনা, উন্নয়ন ও পূর্ত দপ্তরের উপ-পরিচালক ড. মো. আব্দুর রউফের বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। এছাড়াও তিনি নিয়োগ বাণিজ্যের মাধ্যমে নিজের আপন ভাগ্নে মো. হুমায়ুনকে নিয়োগ দিয়েছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে। নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগের ভিত্তিতে বিষয়টি সরেজমিন তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।
এছাড়াও তিনি নিয়োগ বাণিজ্যের মাধ্যমে নিজের আপন ভাগ্নে মো. হুমায়ুনকে নিয়োগ দিয়েছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে। নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগের ভিত্তিতে বিষয়টি সরেজমিন তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।
তিনি নিজেও বিজ্ঞপ্তি ছাড়া ও বয়সসীমা উপেক্ষা করে বিশ্ববিদ্যালয়ে সেকশন অফিসার (গ্রেড -১) চাকরি পান বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
গত ২২ সেপ্টেম্বর তদন্তের জন্য দুই সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং তাদেরকে আগামী ৭ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছে ইউজিসি। দুর্নীতি দমন কমিশনে চিঠি পঠিয়ে বিষয়টি জানানো হলে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন এ সিদ্ধান্ত নেয়।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সচিব (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ড. ফেরদৌস জামানকে আহ্বায়ক ও ইউজিসির পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ম্যানেজমেন্ট বিভাগের উপ-পরিচালক মৌলি আজাদকে সদস্য সচিব করে দুই সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, কোন ধরনের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই ২০০৯ সালে পরিকল্পনা ও উন্নয়ন দপ্তরের সেকশন অফিসার (গ্রেড-১) পদে চাকরি পান ড. আব্দুর রউফ। এরপর তিনি দুইবার পদোন্নতি পেয়ে বর্তমানে পরিকল্পনা ও উন্নয়ন দপ্তরের উপ-পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন । ২০০৯ সালের ২৩ এপ্রিল যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৮টি পদে ৬১ জনকে নিয়োগ দেওয়ার জন্য একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে সহকারী পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) পদে নিয়োগের জন্য আবেদন করেন আব্দুর রউফ। কিন্তু এই পদে কমপক্ষে পাঁচ বছরের অভিজ্ঞতা চাওয়া হয়। সেই অভিজ্ঞতা না থাকায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কর্তৃক গঠিত যাচাই বাছাই কমিটি আব্দুর রউফের আবেদনপত্রটি বাতিল করে দেন। এছাড়াও তার দাখিলকৃত আবেদন পত্রে বয়স দেখানো হয় ৩১ বছর ৭ মাস ২১ দিন। বাতিল হওয়ার পরও ওই আবেদনপত্রেই তিনি পরিকল্পনা ও উন্নয়ন দপ্তরের সেকশন অফিসার (গ্রেড-১) পদে চাকরি পান।
এ বিষয়ে প্রতিবেদক আব্দুর রউফের সাথে যোগাযোগের চেষ্ট করা হলে তিনি ব্যস্ততা দেখিয়ে কলটি কেটে দেন এবং পরবর্তীতে একাধিক বার চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে যবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগের পর যদি কোনো শিক্ষক, কর্মকর্তা বা কর্মচারীর কাগজপত্রে সমস্যা থাকে সেটা দেখার দায়িত্ব ওই নিয়োগ বোর্ড কমিটির। এছাড়া নিয়োগ চূড়ান্ত হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম রিজেন্ট বোর্ডের মাধ্যমে। আব্দুর রউফের বিরুদ্ধে আসা অভিযোগের ভিত্তিতে ইউজিসি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। তদন্ত কমিটির রিপোর্টে যদি সে অভিযুক্ত হয় তাহলে ইউজিসির নির্দেশ অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে দায়িত্বপ্রাপ্তির পর সে যদি কোনো অনিয়ম করে থাকে এবং অনিয়মের যদি প্রমাণ পাওয়া যায় সেক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যাবস্থ নিবে।
বাংলাদেশ জার্নাল/জেবি
