ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৩ মিনিট আগে
শিরোনাম

লক্ষীপুরে ৭৮ মণ্ডপে দূর্গাপূজা

  লক্ষীপুর প্রতিনিধি

প্রকাশ : ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৫:৩৮  
আপডেট :
 ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৬:১২

লক্ষীপুরে ৭৮ মণ্ডপে দূর্গাপূজা
লক্ষীপুরের পূজা মণ্ডপ

লক্ষীপুরে এ বছর ৭৮টি পূজামণ্ডপে দুর্গাপূজার আয়োজন চলছে। এবার নতুন করে আরও ২টি পূজামণ্ডপ বেড়েছে।

পূজা উদযাপন পরিষদ সূত্রে জানা যায়, করোনা সংক্রমণ রোধে শারদীয় দুর্গাপূজায় এবারের আয়োজনেও সীমাবদ্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। পূজা উদযাপন পরিষদের কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তমতে ১৮টি নির্দেশনাসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে প্রতিমা নির্মাণসহ সাত্ত্বিক পরিবেশ নিশ্চিত করা ও প্রতিমা নিরঞ্জনে শোভাযাত্রা পরিহার করে লক্ষীপুরে ৭৮টি পূজামণ্ডপে এবার শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে সদরে ১৭ টি, চন্দ্রগঞ্জে ১৫টি, রায়পুরে ১২টি, রামগঞ্জে ১৯টি, রামগতিতে ১২টি ও কমলনগর উপজেলার ৩টি মণ্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে। তাছাড়া নতুন পূজামণ্ডপ হলো, রামগতির চর মেহার সাহাপাড়া শ্রী শ্রী রাধাকৃষ্ণ সেবাশ্রম মণ্ডপ ও রায়পুরের কেরোয়া ইউনিয়নের সার্বজনীন পূজামণ্ডপ।

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব এই দুর্গাপূজার প্রধান অনুষঙ্গ হচ্ছে দেবী দুর্গার প্রতিমা। আর তাই দুর্গোৎসবকে সামনে রেখে প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন মৃৎশিল্পীরা। পূজা শুরুর নির্দিষ্ট সময়ের আগেই মা দুর্গাকে তুলতে হবে মণ্ডপে। সেজন্য মৃৎশিল্পীরা রাত-দিন একাকার করে প্রতিমা তৈরির কাজ করছেন। এখন প্রতিমার কাঠামোর মাটির কাজ চলছে। এরপর শুরু হবে রং ও সাজসজ্জা।

লক্ষীপুরের শ্যামসুন্দর জিউর আখড়া, শ্রী শ্রী আনন্দময়ী কালী বাড়ির মন্দির, শাখাড়ীপাড়া ও সমসেরাবাদ এলাকার মন্দিরে প্রতি বছরই জাঁকজমক করে উদযাপিত হয় শারদীয় দুর্গোৎসব। এবারো পুরোদমে কাজ চলছে প্রস্তুতি।

জেলার পৌর শহরের শ্রী শ্রী আনন্দময়ী কালী বাড়ির মন্দিরে প্রতিমা তৈরির কাজ করতে আসা শিল্পী সজল পাল জানান, তিনি শরিয়তপুর থেকে এসেছেন। দশম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া শেষে ৭ বছর এ পেশায় কাজ করছেন। দুর্গাপূজা এলে তাদের কাজ বেড়ে যায়, কিন্তু এ বছর পরিস্থিতি একটু ভিন্ন। তারপরও লক্ষীপুরসহ কয়েকটি পূজামণ্ডপের কাজ করবেন। এখন চলছে প্রতিমার কাঠামোর মাটির কাজ। এ কাজ শেষ হতে সময় লাগবে ৪/৫ দিন। এর পর সাজ-সজ্জার কাজ চলবে। তাতে আরও ৩ দিন সময় লাগবে। কয়েকটি মন্দিরে কাজ থাকায় রাত-দিন পরিশ্রম করে প্রতিমা তৈরি করে দর্শনার্থীদের সামনে সঠিক সময়ে সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করার জন্য কাজ করছেন তারা। তার সাথে আরও কাজ করছেন কমলনগর উপজেলার করুনানগরের অয়ন দাস। এর আগে এ মন্দিরে পরিমল নামে এ শিল্পী কাজ করতেন।

জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি শঙ্কর মজুমদার জানান, করোনাভাইরাসের কারণে এবার স্বাস্থ্যবিধি মেনে পূজা করতে হবে। এ সম্পর্কিত ১৮টি নির্দেশনা রয়েছে। প্রত্যেকেই এ নির্দেশনা মেনে পূজা করতে হবে। তিনি বলেন, করোনা সংক্রমণ এড়াতে আতশবাজি, আলোকসজ্জা, মেলার আয়োজন, আরতি প্রতিযোগিতা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, জনসমাগম পরিহার করতে হবে।

এখাতে ব্যবহারকৃত সাশ্রয়ী অর্থ তিনি গরীবের সাহায্যে প্রদান করতে অনুরোধ জানান। তবে, এখনো পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা বিষয়ে প্রশাসন কোন সিদ্ধান্ত দেয়নি বলেও জানান তিনি।

বাংলাদেশ জার্নাল/এমএ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত