ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৪ মিনিট আগে
শিরোনাম

রবির সেই শিক্ষিকা সাময়িক বরখাস্ত, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ০১ অক্টোবর ২০২১, ০১:৩১  
আপডেট :
 ০১ অক্টোবর ২০২১, ০৮:১৭

রবির সেই শিক্ষিকা সাময়িক বরখাস্ত, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ
সংগৃহীত ছবি

অবশেষে শিক্ষার্থীদের চুল কেটে দেয়ার অভিযোগে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের (রবি) সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও বাংলাদেশ অধ্যয়ন বিভাগের সেই শিক্ষিকা ফারহানা ইয়াসমিন বাতেনকে সাময়িক বরখাস্ত করল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। একই সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল পরীক্ষা স্থগিত এবং একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিষ্টার সোহরাব হোসেন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়-বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও বাংলাদেশ অধ্যয়ন বিভাগের চেয়ারম্যান ও প্রভাষক ফারহানা ইয়াসমিন কর্তৃক ওই বিভাগের শিক্ষার্থীদের চুল কেটে লাঞ্চিত করা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান অস্থিরতা নিরসনে বৃহস্পতিবার রাতে সিন্ডিকেটের ১৬তম বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয়। রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (অতিরিক্ত দায়িত্বে) আব্দুল লতিফের সভাপতিত্বে সিন্ডিকেট সভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ডিন প্রফেসর মো. দেলোয়ার হোসেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ন সচিব-৩ নওয়ারা জাহান ও রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিষ্টার সোহরাব হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল বিভাগের পরীক্ষা স্থগিত, একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে। তবে তদন্ত সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন প্রাপ্তি সাপেক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন, সংবিধি, প্রবিধি, নীতিমালা এবং সরকারি কর্মচারি ( শৃংখলা ও আপীল) বিধিমালা ২০১৮ অনুযায়ী সাময়িকভাবে বহিস্কৃত ফারহানা ইয়াসমিনের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।

উল্লেখ্য, গত রোববার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও বাংলাদেশ অধ্যায়ন বিভাগের প্রথম বর্ষের রাষ্ট্রবিজ্ঞান পরিচিতি বিষয়ে ফাইনাল পরীক্ষার হলে প্রবেশের সময় ১৪ জন শিক্ষার্থীর চুল কেটে দেন বিভাগের চেয়ারম্যান সহকারি প্রক্টর ফারহানা ইয়াসমিন। চুল কেটে দেওয়ায় অপমান সহ্য করতে না পেরে সোমবার রাতে নাজমুল হাসান তুহিন নামে এক ছাত্র অতিমাত্রায় ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।

এ ঘটনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার সকাল থেকে শিক্ষার্থীরা ক্লাস ও সকল পরীক্ষা বর্জন করে একাডেমিক এবং প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে দিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে। ওইদিন রাতেই বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও বাংলাদেশ অধ্যয়ন বিভাগের চেয়ারম্যান, সহকারি প্রক্টর ও সিন্ডিকেট সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করেন ফারহানা ইয়াসমিন বাতেন। এ ঘটনায় ৫ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তারপরও ওই শিক্ষিকার স্থায়ী বহিস্কারের দাবী জানিয়ে বুধবার সকাল থেকে আমরণ অনশন শুরু করে শিক্ষার্থীরা। অবশেষে এ অচলাবস্থা নিরসনে সিন্ডিকেট সদস্যদের জরুরি সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

বাংলাদেশ জার্নাল/এএম

  • সর্বশেষ
  • পঠিত