বান্দরবানে মন্দিরে হামলা-ভাঙচুর, আহত অর্ধশত
বান্দরবান প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৪ অক্টোবর ২০২১, ১৮:২৮ আপডেট : ১৪ অক্টোবর ২০২১, ১৮:৪২
কুমিল্লার ঘটনার জের ধরে বান্দরবানের লামায় প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে মুসল্লিরা। সমাবেশের পর লামা উপজেলার কেন্দ্রীয় হরি মন্দিরে দফায় দফায় হামলা চালানো হয় বলে জানা গেছে। এ সময় পুলিশ সদস্যসহ আহত হয়েছে অর্ধশত।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই উত্তপ্ত লামা। সকালে লামা বাজারে ‘সর্বস্তরের তৌহিদী জনতা’ ব্যানারে সভা হয়। সভায় শতাধিক মুসল্লি জামায়েত হয়।
এ সভায় লামা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, পৌর মেয়র জহিরুল ইসলাম ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. শাহীন ও ওলামালীগ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
স্থানীয়রা জানায়, প্রতিবাদ সভা শেষে প্রায় শতাধিক মুসল্লি জড়ো হয়ে লামা বাজারের কেন্দ্রীয় দুর্গাপূজা উৎসবের প্রধান গেট ভাঙচুর করে। এ সময় বাজার এলাকায় অবস্থিত লামা উপজেলার কেন্দ্রীয় হরি মন্দিরেও ইটপাটকেল নিক্ষেপের পাশাপাশি ভাঙচুর চালানো হয়। দুপুর পর্যন্ত থেমে থেমে সংঘর্ষ হয়। দুই পক্ষের সংঘর্ষে ১২-১৩ জন আহত হয়। সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে একজন এসআইসহ তিন পুলিশ সদস্য আহত হন।
লামা থানার এসআই মো. জুম্মা জানান, আহতদের উদ্ধার করে লামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো। যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবেলাই পরিস্থিতি শান্ত রাখতে লামা বাজারে ৩০ জন পুলিশ, ১ প্লাটুন বিজিবি ও ২ প্লাটুন সেনাসদস্য নিয়োজিত রাখা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, ঘটনার পর থেকে থমথমে অবস্থা বিরাজ করেছে উপজেলাটিতে। হিন্দু সম্প্রদায়ের অনেকেই ভয়ে বের হচ্ছে না। নিজেদের নিরাপত্তার জন্য তারা জেলার সিনিয়র নেতাদের ফোন করে প্রশাসনের সহযোগীতা কামনা করেন।
লামা হরি মন্দির কমিটির সভাপতি প্রশান্ত ভট্টচার্য বলেন, যে হিসাবে আমাদের ওপর হামলা ও ভাঙচুর করা হয়েছে, প্রতিবাদ করে লাভ নেই। আমরা সৃষ্টিকর্তার কাছে বিচার চাইবো।
বান্দরবানের জেলা প্রশাসক ইয়াসমিন পারভীন তিবরীজি বলেন, পরিস্থিতি শান্ত রাখতে বিজিবিসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্যদের মোতায়ন করা হয়েছে। এখন পরিস্থিতি শান্ত আছে।
বাংলাদেশ জার্নাল/এসকে