আয় বৃদ্ধি পাওয়ায় জনগণ স্বস্তিতে আছে: কৃষিমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৫ অক্টোবর ২০২১, ১৯:৪৭ আপডেট : ১৫ অক্টোবর ২০২১, ২০:০৭
‘বেশি দামে চাল কিনতে হলেও, আয় বৃদ্ধি পাওয়ায় মানুষের মধ্যে কোনো অস্বস্তি নেই, জনগণ স্বস্তিতে আছে’ বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
তিনি বলেন, ‘দেশে চালের দাম কিছুটা বেশি হলেও কেউ না খেয়ে নেই। আগে বছরের এ সময়টায় দুর্ভিক্ষ হতো। কিন্তু আয় বাড়ায় মানুষ এখন ভালো আছে।’
শুক্রবার (১৫ অক্টোবর) বিশ্ব খাদ্য দিবস ২০২১ উদযাপন উপলক্ষে কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের (বিএআরসি) মিলনায়তনে কৃষি মন্ত্রণালয় এবং জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মেসবাহুল ইসলাম এবং এফএওর বাংলাদেশ প্রতিনিধি রবার্ট ডি. সিম্পসন।
এ সময় কৃষিমন্ত্রী সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।
চালের দাম প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘আগে চালের দাম কম ছিল। কিন্তু তখন একদিনের ইনকাম দিয়ে গরিব মানুষ তিন-চার কেজি চাল কিনতে পারতো না। এখন একদিনের টাকায় ১০ থেকে ১২ কেজি চাল কিনছে পারছে।’
ড. মো. আব্দুর রাজ্জাকের দৃষ্টিতে, ‘দেশে দ্রুত জনসংখ্যা বাড়ছে। প্রতি বছর দেশে ২৪ লাখ মানুষ বাড়ছে। বিশ্বের বহু দেশের মোট জনসংখ্যাই এতো নয়। তার ওপর আমাদের কৃষি জমি কমছে। তবুও আমরা খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছি।’
চালের দাম বাড়ার বড় কারণ হিসেবে নন হিউম্যান কনজাম্পশন বলে মন্তব্য করে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের উৎপাদিত চাল বহুক্ষেত্রে ব্যবহার হচ্ছে। মানুষ চাল গরু ও ছাগলকে খাওয়াচ্ছে। মৎস্য, পোল্ট্রি, হাঁসের খামারে ধান-চাল ও বাই প্রোডাক্ট ব্যবহার হচ্ছে। সেক্ষেত্রে কত চাল নন-হিউম্যান কনজাম্পশনে যাচ্ছে তার হিসাব নেই।’
সবজিসহ অন্যান্য নিত্যপণ্যের দাম বাড়ার কারণ হিসেবে বাজার ব্যবস্থাপনাকে দায়ী করে মন্ত্রী বলেন, ‘আমি দেখেছি, যেখানে ফুলকপি হচ্ছে সেখানে বিক্রি হচ্ছে ১০ থেকে ১৫ টাকায়। সেটা ঢাকায় এসে বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকায়। রাস্তায় চাঁদা নেয়া হচ্ছে। বাজারে সিন্ডিকেট। হাত ঘুরে ঘুরে দাম বাড়ছে। কারণ দুর্বল বাজার ব্যবস্থাপনা। সংশ্লিষ্টদের এ নিয়ে কাজ করতে হবে।’
বাংলাদেশ জার্নাল/জেবি