ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৭ মিনিট আগে
শিরোনাম

পেছনের ইন্ধনদাতাদেরও বের করতে হবে: রানা দাশগুপ্ত

  চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

প্রকাশ : ২৩ অক্টোবর ২০২১, ১৮:০০

পেছনের ইন্ধনদাতাদেরও বের করতে হবে: রানা দাশগুপ্ত
ছবি: প্রতিনিধি

বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা দাশগুপ্ত বলেছেন, মানসিক বিকারগ্রস্ত ব্যক্তি কিভাবে পবিত্র কোরআন শরীফ চিনলো। সে কিভাবে হনুমানের গদা চিনলো? আবার সুকৌশলে হনুমানের গদা হাতে করে নিয়ে বেরিয়ে গেলো। এসব কিছুর নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু তদন্ত করতে হবে। এটা কোনো মানসিক বিকারগ্রস্ত লোকের কাজ হতে পারে না। এর পেছনে কাদের ইন্ধন ছিলো, তাদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনতে হবে। রাষ্ট্র কোনভাবে এ দায় এড়াতে পারে না।

শনিবার দেশব্যাপী বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ আয়োজিত গণ-অনশন, গণ-অবস্থান ও বিক্ষোভ মিছিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় সাম্প্রদায়িক হামলাকারীদের বিশেষ ক্ষমতা আইন ও সন্ত্রাস দমনের আওতায় এনে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করে বিচারের দাবি জানিয়েছেন তিনি।

অ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্ত বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সুস্পষ্ট নির্দেশনার পরও প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যেসব সদস্য দায়িত্ব পালনে গাফিলতি ও অবহেলা করেছেন এবং যেসব জনপ্রতিনিধি সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসীদের মোকাবিলায় এগিয়ে আসেননি, তাদের চিহ্নিত করে শাস্তিমূলক ও সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। যারা উসকানি দিচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে।

বাহাত্তরের সংবিধান পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে দেয়া প্রতিশ্রুত সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রণয়ন, সংখ্যালঘু কমিশন গঠন দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি জানান এই নেতা।

রানা দাশগুপ্ত শারদীয় দুর্গোৎসব চলাকালীন দেশের বিভিন্ন জেলায় মন্দির ও পূজামণ্ডপে হামলার ঘটনায় নিহতদের পরিবারের একজন সদস্যকে সরকারি চাকরি, ২০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দানসহ ১১ দফা দাবি তুলে ধরেন।

এ সময় সমাবেশে অন্যান্য বক্তারা বলেন, শারদীয় দুর্গোৎসবে কুমিল্লার ঘটনাকে কেন্দ্র করে একটি গোষ্ঠী সারাদেশে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ওপর যে হামলা চালিয়েছে তা অত্যন্ত নিন্দনীয়। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে নিজেদের উৎসব পালন করছিলাম। কিন্ত অষ্টমীর দিন থেকে শুরু করে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ওপর যে নৃশংস-বর্বরোচিত হামলা চালানো হয়েছে তা আগে কেউ দেখেছে বলে মনে হয় না। এ বাংলাদেশ অসাম্প্রদায়িক বলা হলেও সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ওপর হামলার দৃশ্য দেখলে কোনোভাবেই বলার সুযোগ নেই এ দেশ অসাম্প্রদায়িক।

গণ-অবস্থান থেকে পূজা উদযাপন পরিষদ ঘোষিত আগামী ৪ নভেম্বর শ্যামা পূজায় দীপাবলি উৎসব বর্জন ও সন্ধ্যা ৬টা থেকে ৬টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত কালো কাপড়ে মুখ ঢেকে মন্দিরে অবস্থান, মন্দির-মণ্ডপ ফটকে কালো কাপড়ে সাম্প্রদায়িক সহিংসতাবিরোধী স্লোগান সম্বলিত ব্যানার টাঙানোর প্রতিবাদী কর্মসূচির সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ।

সমাবেশ থেকে ফেব্রুয়ারিতে এসব দাবির সমর্থনে ‘চলো চলো ঢাকা চলো’ শীর্ষক প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অভিমুখে পদযাত্রার কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।

বাংলাদেশ জার্নাল/এসকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত