ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২৬ মিনিট আগে
শিরোনাম

যশোর শিক্ষাবোর্ডের আরও আড়াই কোটি টাকা লোপাট

  যশোর প্রতিনিধি

প্রকাশ : ২৩ অক্টোবর ২০২১, ১৮:৫৯  
আপডেট :
 ২৩ অক্টোবর ২০২১, ১৯:১২

যশোর শিক্ষাবোর্ডের আরও আড়াই কোটি টাকা লোপাট
যশোর শিক্ষা বোর্ড।

যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড থেকে চেক জালিয়াতি করে আরও আড়াই কোটি টাকা আত্মসাতের ঘটনা ধরা পড়েছে। এ নিয়ে বোর্ডের মোট ৫ কোটি টাকা আত্মসাতের খবর পাওয়া গেছে।

বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) বিষয়টি ধরা পড়লে গোপনে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) আরও একটি লিখিত অভিযোগ দেয় শিক্ষাবোর্ড কর্তৃপক্ষ।

আড়াই কোটি টাকা জালিয়াতির বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন যশোর শিক্ষাবোর্ডের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অধ্যাপক মাধব চন্দ্র রুদ্র।

আড়াই কোটি টাকার চেক জালিয়াতিসহ মোট ২৬টি চেকে ১৪ লাখ ৮৩ হাজার ৭৪২ টাকার বিপরীতে ৫ কোটি ৯ লাখ ৪৯ হাজার ৮৯৮ টাকা লোপাট করার প্রমাণ পেয়েছে অডিট শাখা।

অভিযোগে বলা হয়েছে, ২০১৭ সালের ২১ আগস্ট বিজনেস আইটি নামে একটি প্রতিষ্ঠানের নামে আয়কর বাবদ ১২ হাজার ২৭৬ টাকা তুলে নেয়া হয়। একই সালের ৪ অক্টোবর শহরের জামে মসজিদ লেনের নূর এন্টারপ্রাইজ নামে ৫৯ হাজার ৩৫ টাকা তুলে নেয়া হয়েছে। ২০১৯ সালের ২৯ এপ্রিল মেসার্স খাজা প্রিন্টিং প্রেসের নামে ২ লাখ ৯৮ হাজার ৫৩০ টাকা ও নিহার প্রিন্টিং প্রেসের নামে ২ লাখ ৯৮ হাজার ৫৩০ টাকা উত্তোলন করা হয়েছে। এভাবে ৯টি প্রতিষ্ঠানের নামে আরও ২ কোটি ৪৩ লাখ ৭ হাজার ৮৭৮ টাকা তুলে নিয়েছে হিসাব সহকারী আব্দুস সালাম।

একইসঙ্গে সেকশন অফিসার আবুল কালাম আজাদের নামে ৯৪ হাজার ৩১৬ টাকা ও আব্দুস সালামের নিজ নামে ২৫ লাখ ৮০ হাজার ১০ টাকা তুলে নেয়া হয়েছে।

যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের হিসাব ও নিরীক্ষা বিভাগের উপপরিচালক এমদাদুল হক বলেন, আমরা আরও প্রায় আড়াই কোটি টাকার চেক জালিয়াতির প্রমাণ পেয়েছি। যা দুদকে ২১ অক্টোবর আরও একটি অভিযোগ জমা দিয়েছি। ওই সময় বর্তমানের চেয়ারম্যান মোল্লা আমীর হোসেন বোর্ডের সচিব থাকাবস্থায় প্রথম এই জালিয়াতি করে। আব্দুস সালাম তখন বোর্ডের হিসাব শাখার দায়িত্বে ছিলেন।

দুর্নীতি দমন কমিশন যশোর কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. নাজমুচ্ছায়াদাত বলেন, আমাদের কাছে আরও প্রায় আড়াই কোটি টাকা জালিয়াতির অভিযোগ করা হয়েছে। কারা করেছে তা খুঁজে বের করা হবে।

এর আগে ১৮ অক্টোবর আড়াই কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ৫ জনকে আসামি করে মামলা করে দুদক। দুর্নীতি দমন কমিশনের সমন্বিত জেলা কার্যালয় যশোরের সহকারী পরিচালক মাহফুজ ইকবাল বাদী হয়ে এই মামলা করেছেন।

শিক্ষাবোর্ডের কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান বাবলু জানান, বোর্ড চেয়ারম্যান আগে যখন সচিব ছিলেন তখন থেকে এই জালিয়াতি শুরু করে আব্দুস সালাম ও তার ব্যবসায়ীক পার্টনার।

বাংলাদেশ জার্নাল/ওয়াইএ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত