ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৮ মিনিট আগে
শিরোনাম

ডেন্টালে ভর্তির আশ্বাস দিয়ে ২ লাখ টাকা আদায়, জবি শিক্ষার্থী আটক

  জবি প্রতিনিধি

প্রকাশ : ২৬ অক্টোবর ২০২১, ০০:৪৬  
আপডেট :
 ২৬ অক্টোবর ২০২১, ০০:৫৫

ডেন্টালে ভর্তির আশ্বাস দিয়ে ‘প্রতারণা’, জবি শিক্ষার্থী আটক

‘ডেন্টালে সরকারিভাবে চান্স পেয়েছে মেয়ে, কিন্তু ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অনিয়মের কারণে তাকে চান্স না দিয়ে অন্য কাউকে চান্স দেয়া হয়েছে। এখন তার মেয়েকে ডেন্টালে চান্স পাওয়াতে হলে ১০ লাখ টাকা দিতে হবে। এতো টাকা নাই জানালে আপাতত দুই লাখ টাকা দিলেও হবে। ভর্তির পর দিতে হবে বাকি টাকা...’

ভুক্তভোগীর কাছ থেকে এভাবে প্রতারণার মাধ্যমে দুই লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে আবু মুসা আসারী নামে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) এক শিক্ষার্থীকে আটক করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ওয়ারী বিভাগের গোয়েন্দা সদস্যরা (ডিবি)।

সোমবার পুলিশ জানিয়েছে, আটক আবু মুসা জবির ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন বিভাগের শিক্ষার্থী। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর অভিযোগের ভিত্তিতে রোববার রাত সাড়ে ৮টায় পুরান ঢাকার গেন্ডারিয়া থানার নারিন্দা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারের সময় তার কাছ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মঞ্জুরী কমিশনের দুটি ভুয়া পরিচয়পত্র, একাধিক ভুয়া এনআইডি কার্ড ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের প্রবেশপত্রের কপি জব্দ করেছে পুলিশ।

সোমবার ডিবির ওয়ারী বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন গণমাধ্যমকে এসব তথ্য জানান।

গোয়েন্দা ওয়ারী বিভাগের উপ-কমিশনার আশরাফ হোসেন জানান, ভুক্তভোগীর মেয়ে ১০ অক্টোবর ডেন্টাল ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেয়। তাতে ফল খারাপ হয়।

এর মধ্যে গত ১২ অক্টোবর ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর গ্রেপ্তার মুসা আসারীর সঙ্গে ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয় হয়। মুসা আসারী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা হিসেবে নিজেকে পরিচয় দেন। তারপর তার মেয়ের রোল নম্বর নিয়ে তাকে জানান তার মেয়ের পরীক্ষার রেজাল্ট ভালই হয়েছে।

গোয়েন্দার এ কর্মকর্তার তথ্য অনুযায়ী, মুসা আসারী ভুক্তভোগীকে জানান- তার মেয়ে সরকারিভাবে চান্স পেয়েছে, কিন্তু ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অনিয়মের কারণে তাকে চান্স না দিয়ে অন্য কাউকে চান্স দেয়া হয়েছে। তিনি যদি মেয়েকে ডেন্টালে চান্স পাওয়াতে চান তাহলে এখন ১০ লাখ টাকা দিতে হবে।

ভুক্তভোগী এতো টাকা নাই জানালে মুসা বলেন, এখন দুই লাখ টাকা দিলে ভর্তির পর বাকিটা দিলেও হবে। মুসার কথা বিশ্বাস না করলে তখন তার ইমো আইডিতে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সহকারী সচিব নবিউল হাসান সামসুর পরিচয়পত্র এবং গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির সঙ্গে ফেইক চ্যাটিং স্ক্রিনশট পাঠান।

তখন ভুক্তভোগী বিশ্বাস করে একসময় মুসার সঙ্গে দেখা করে দুই লাখ টাকা দেন। টাকা দেয়ার পরের দিন মুসাকে ফোন দিয়ে রেজাল্টের বিষয়ে জানতে চাইলে মুসা আজকের মধ্যেই উপরের মহলে আরও এক লাখ টাকা দিতে হবে বলে জানান। তা না হলে তার মেয়ের রেজাল্ট আগেরটাই থাকবে।

তখন মুসার কথাবার্তায় সন্দেহ হলে প্রতারণার শিকার হয়েছে বুঝতে পারেন। পরে যাত্রাবাড়ী থানায় মামলা দায়ের করে ভুক্তভোগীর পরিবার। মামলাটির তদন্ত ভার দেয়া হয় গোয়েন্দা ওয়ারী বিভাগকে। তারা গোয়েন্দা তথ্য ও তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় মুসাকে গ্রেপ্তার করে।

বাংলাদেশ জার্নাল/আর

  • সর্বশেষ
  • পঠিত