ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৩ মিনিট আগে
শিরোনাম

মধ্যরাতে ছাত্রীর বাড়িতে গিয়ে গণধোলাইয়ের শিকার শিক্ষক

  পিরোজপুর প্রতিনিধি

প্রকাশ : ২৬ অক্টোবর ২০২১, ২০:৩৫

মধ্যরাতে ছাত্রীর বাড়িতে গিয়ে গণধোলাইয়ের শিকার শিক্ষক
ছবি প্রতীকী

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলায় প্রাইভেট পড়ানোর নির্ধারিত সময়ের পর মধ্যরাতে ছাত্রীর বাড়িতে গিয়ে স্থানীয়দের ধাওয়া খেয়ে পুকুরে পড়ে নাকানিচুবানি খেয়েছে এক শিক্ষক। ছাত্রীর সঙ্গে অনৈতিক কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে ওই শিক্ষককে গণধোলাইও দিয়েছে স্থানীয়রা।

অভিযুক্ত শিক্ষক হাবিবুল বাশার উপজেলার সূর্যমনি হাচানিয়া দাখিল মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক। শারীরিক শিক্ষা বিষয়ে নিবন্ধনকৃত তিনি। তবে এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছেন শিক্ষক হাবিবুল বাশার। তিনি বলেন, আমাকে নিয়ে যে কথা উঠেছে তা সবই শোনা কথা। এর কোনো ভিত্তি নেই। এলাকায় একেকজন একেক কথা বলে।

জানা গেছে, ঘটনার দিন মঙ্গলবার (১৯ অক্টোবর) রাত ১২টার দিকে ওই শিক্ষক ছাত্রীর বাড়িতে যায়। বাড়িতে ছাত্রীর বাবার উপস্থিতি টের পেয়ে দৌঁড়ে পালাবার চেষ্টা করেন। কিন্তু পালাবার সময় পুকুরে পড়ে যাওয়ায় শেষ রক্ষা হয়নি। তাকে ধরে ঘরের একটি কক্ষে আটকে রাখা হয়। পাশের ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ওই রাতে এসে শিক্ষককে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়।

দুই একদিনের মধ্যেই এলাকা ছাড়ার শর্তসাপেক্ষে তাকে পুলিশে না দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয় বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

স্থানীয়রা আরও জানান, এলাকায় হাবিব মাস্টার নামে পরিচিত স্থানীয় মাদ্রাসার ওই শিক্ষক বাড়িতে গিয়ে ইংরেজিসহ অন্যান্য বিষয়ে প্রাইভেট পড়ান। এতে একই প্রতিষ্ঠানের নবম শ্রেণির এক ছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন তিনি। বিষয়টি জানাজানি হলে অভিভাবকরাও বিষয়টি অবগত হন। ঘটনার দিন বিষয়টি আরও নিশ্চিত হন অভিভাবকরা। মান-সম্মানের ভয়ে ভুক্তভোগী ছাত্রী বা অভিভাবক এখন পর্যন্ত থানায় অভিযোগ না দিলেও স্থানীয়ভাবে মীমাংসার চেষ্টা চলছে।

শারিরীকভাবে লাঞ্ছিত হয়ে মাদ্রাসা থেকে ছুটি নিয়ে চিকিৎসা নেন ওই লম্পট শিক্ষক। ছুটি নেয়ার বিষয়টি মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপার মো. শাহ আলম নিশ্চিত করেছেন। ভারপ্রাপ্ত সুপার বলেন, এলাকার একটি বিষয় নিয়ে মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক (শারীরিক শিক্ষা) হাবিবুল বাশার ওরফে হাবিব মাস্টারের সঙ্গে একটু ঝামেলা হয়েছে। বিষয়টি উপজেলা পর্যায়ের একজন রাজনৈতিক নেতা মীমাংসা করে দিচ্ছেন।

মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আমজাদ হোসেন জানান, ওই শিক্ষক চিকিৎসার জন্য ছুটি নিয়েছে। একটি ঘটনা শুনেছি। কোনো লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মঠবাড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহা. নূরুল ইসলাম বাদল জানান, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বাংলাদেশ জার্নাল/ওয়াইএ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত