ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৫ মিনিট আগে
শিরোনাম

কুমিল্লার ঘটনা পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র: আইনমন্ত্রী

  ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

প্রকাশ : ২৯ অক্টোবর ২০২১, ১৯:০৬

কুমিল্লার ঘটনা পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র: আইনমন্ত্রী
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

আইন, বিচার ও সংসদ বিষয় মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, সংখ্যালঘুদের ব্যাপারে যে কমিশন গঠনের দাবি উঠেছে সে বিষয়ে নীতি নির্ধারকদের সমন্বিত সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এটি আমার একার সিদ্ধান্তের ব্যাপার নয়। আমি বলতে চাই, কুমিল্লার হামলাকে সাম্প্রদায়িক হামলা বলে ধরে নেয়া ঠিক হবে না। এ ঘটনা একটি পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র। এই পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা করা হয়েছিল। আমি অত্যন্ত দুঃখিত, কিছু কিছু জায়গায় এ ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু এটা বাংলাদেশের সার্বিক চিত্র নয়।

শুক্রবার (২৯ অক্টোবর) আখাউড়া উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে ভারত সরকারের দেয়া দুটি অ্যাম্বুলেন্স প্রদান উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক হায়াত উদ দৌলা খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী।

এর আগে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তৃতায় আইনমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ কখনই সাম্প্রদায়িক রাজনীতিকে প্রশ্রয় দেবে না। জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার বাংলাদেশের সংবিধানে যে কথা লেখা আছে, বঙ্গবন্ধু আমাদেরকে যে সংবিধান উপহার দিয়েছেন, সেই সংবিধানের কথাগুলো অক্ষরে অক্ষরে পালন করবো।

আনিসুল হক বলেন, যতদিন পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ জীবিত থাকবে, যতদিন পর্যন্ত বাংলাদেশ জীবিত থাকবে, ততদিন পর্যন্ত আমাদের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিও জীবিত থাকবে।

আইনমন্ত্রী বলেন, ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর ভারত প্রথম বাংলাদেশকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। আমরা বাঙালি, আমাদের দুঃসময়ে যারা সাহায্য করে বন্ধুদের হাত বাড়িয়ে দেয় আমরা তাদেরকে কখনও ভুলি না।

অ্যাম্বুলেন্স উপহার দেয়ায় ভারত সরকারকে ধন্যবাদ জানান বাংলাদেশের আইনমন্ত্রী।

দোরাইস্বামী বলেন, ২০২১ সালের মার্চ মাসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরকালে বাংলাদেশকে ১০৯টি অ্যাম্বুলেন্স উপহার দেয়ার প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবে এই অ্যাম্বুলেন্সগুলো দেয়া হয়েছে।

ভারতীয় হাই কমিশনার বলেন, কোভিডের দ্বিতীয় তরঙ্গের সময়ে ভারতের প্রয়োজনে বাংলাদেশও ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছিল। বাংলাদেশের ঘনিষ্ট বন্ধু হিসেবে জনস্বাস্থ্য ও জনগণের কল্যাণের জন্য ভারত তার সামর্থ অনুযায়ী সহায়তা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

অনুষ্ঠানে অন্যানের মধ্যে আরও বক্তব্য দেন- সিনিয়র পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, আইন সচিব মো. গোলাম সারওয়ার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আল মামুন সরকার, আখাউড়া পৌরসভার মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- মিসেস দোরাইস্বামী, জেলা পুলিশ সুপার মো. আনিসুর রহমান, সিভিল সার্জন ডা. মো. একরাম উল্লাহ, উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক মো. জয়নাল আবেদীন।

পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুমানা আক্তার অনুষ্ঠানের সম্মানিত অতিথি বিক্রম কুমার দোরাইস্বামীর হাতে আখাউড়ার মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত স্থানের আলোকচিত্র উপহার দেন। অনুষ্ঠানে অন্যান্য অতিথিদেরকে সম্মাননা স্মারক উপহার দেয়া হয়।

বাংলাদেশ জার্নাল/ওয়াইএ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত