ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৩ মিনিট আগে
শিরোনাম

চার বছর ধরে সেতুর বিকল্প বাঁশের সাঁকো

  রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও)প্রতিনিধি

প্রকাশ : ১৬ নভেম্বর ২০২১, ১৬:৫১  
আপডেট :
 ১৬ নভেম্বর ২০২১, ১৭:৩৬

চার বছর ধরে সেতুর বিকল্প বাঁশের সাঁকো
ছবি: প্রতিনিধি

প্রায় চার বছর ধরে সেতুটি ভেঙে পড়ে আছে। সেখানে নতুন সেতু নির্মাণ কিংবা সংস্কারের কোনো উদ্যোগ নেয়নি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। তাই বাধ্য হয়ে এলাকাবাসীর নিজ উদ্যোগে দুই পাশে কাঠ ও বাঁশ দিয়ে সাকো বানিয়ে চলছে সেতু পারাপার। ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলার জিগা গ্রামের নানানদহ খালের চিত্র এটি।

সম্প্রতি সরেজমিন দেখা যায়, সেতুর দুই পাশ ভেঙে কাত হয়ে আছে। দুই পাশের ভাঙা অংশে বাঁশের খুঁটির ওপর কাঠ বিছিয়ে চলাচলের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০০৮ সালে নানানদহ খালের ওপর ৫০ ফুট দীর্ঘ সেতুটি নির্মাণ করা হয়। এরপর ২০১৭ সালের আগস্টের বন্যায় ওই সেতুর দুই পাশ দেবে গিয়ে ভেঙে যায়। স্থানীয়রা জানায় চার বছর ধরে সেতুটি ভেঙে পড়ে আছে। সেতুর জন্য কতজনকে বলা হয়েছে, কিন্তু কোনো কাজ হয়নি। কয়েক দিন আগে গ্রামবাসী নিজেরা চাঁদা তুলে কাঠ ও বাঁশ বিছিয়ে জোড়াতালি দিয়েছে। কিন্তু সেতুতে উঠলেই সেতুটি নড়ে উঠে। সেতু পাড় হতে গিয়ে অনেকেই পানিতে পড়ে গিয়েছে। সেতুর এক পাশে মাগুড়া, বহুতি, জিগা ও মুলকান গ্রাম। এই চার গ্রামের মানুষ চৌরঙ্গী বাজার, কাঁঠালডাঙ্গী বাজার ও যাদুরানিহাটে যাওয়ার জন্য এ সেতু ব্যবহার করে।

মুলকান গ্রামের মোকসেদ আলী জানান, আশপাশের চার গ্রামের মানুষ এ সেতু দিয়ে পণ্য পরিবহন করত। কিন্তু সেতুটি ভেঙে যাওয়ায় গ্রাম থেকে শহরে ধান, চাল ও কৃষিপণ্য যানবাহনে পরিবহন করা যাচ্ছে না।

মাগুরা গ্রামের বাসিন্দা মোছা. নারগিস আখতার জানান, দুই পাশের হাটে মালামাল নিয়ে যেতে হলে কমপক্ষে চার কিলোমিটার পথ ঘুরে যেতে হয়। অসুস্থ ব্যক্তি ও রোগীদের হাসপাতালে যেতেও অনেক সমস্যা হয়।

এ ব্যাপারে ভাতুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শাহাজাহান জানান, সেতুটি নতুন করে নির্মাণ করা খুব জরুরি। বিষয়টি নিয়ে তিনি উপজেলা চেয়ারম্যান ও প্রকৌশলীর সঙ্গে কথা বলবেন।

নতুন সেতু নির্মাণের বিষয়ে জানতে চাইলে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) হরিপুর উপজেলা প্রকৌশলী মাসুদার রহমান বলেন, ‘আমি সবে হরিপুর উপজেলায় বদলি হয়ে এসেছি। সেতুর বিষয়টি খোঁজখবর নিয়ে দেখা হবে।’

হরিপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জিয়াউল হাসান জানান, এখানে নতুন সেতু নির্মাণের জন্য তদবির করা হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে নতুন একটি সেতুর কাজ শুরু হবে বলে আশা করছি।

বাংলাদেশ জার্নাল/জেবি

  • সর্বশেষ
  • পঠিত