ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৯ মিনিট আগে
শিরোনাম

মাথা নত করার জন্য খালেদা জিয়ার জন্ম হয়নি: গয়েশ্বর

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ২৭ নভেম্বর ২০২১, ১৪:৩০

মাথা নত করার জন্য খালেদা জিয়ার জন্ম হয়নি: গয়েশ্বর
ছবি: সংগৃহীত

মাথা নত করার জন্য খালেদা জিয়ার জন্ম হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

শনিবার সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্যের উদ্যোগে ‘ডা. মিলন দিবস’ উপলক্ষে রাজধানীর ডিআরইউতে ৯০’র ডাকসু ও এক আলোচনা সভা তিনি এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, ক্ষমতাসীনরা বলছে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে ক্ষমা চাইতে হবে। কার কাছে? ক্ষমা চাওয়ার লোকটা কে? বর্তমানে জীবিতদের মধ্যে এ দেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনে ও জনগণের ভাগ্য পরিবর্তনে খালেদা জিয়ার চেয়ে বেশি ত্যাগ স্বীকার কে করেছেন? রাস্তায় দাঁড়িয়ে বলুন। যারা নিজেরা অপরাধী, যারা নিজেরা বৈধ নয়, আইনসিদ্ধ নয় তাদের কাছে? ’

তারা কোন আইনের কথা বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আইনমন্ত্রী কি জানেন না, রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাইতে হলে সর্বোচ্চ আদালত থেকে চূড়ান্ত রায় পেতে হয়? আইনমন্ত্রী কি জানেন না পেন্ডিং মামলায় রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাওয়া যায় না? খালেদা জিয়া লড়তে জানেন, তিনি ভাঙ্গতে জানেন না। তিনি দেশ, জনগণ ও গণতন্ত্রের প্রশ্নে আপোষ করতে জানেন না। মাথা নত করার জন্য খালেদা জিয়ার জন্ম হয়নি।’

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘আজ অনেক কথা হলো, এখানে যারা আছেন তাদের কাছে দেশবাসীর প্রত্যাশা, আপনারা গণতন্ত্রকে মুক্ত করবেন। গণতন্ত্র মুক্ত করা মানে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা।’

নেতাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘অতীতের আন্দোলন আর এখনকার আন্দোলন এক রকম হবে না। কারণ প্রেক্ষাপট ভিন্ন। আধুনিক প্রযুক্তির রোষানলে আন্দোলন সংগ্রাম দৃশ্যমান হতে পারে না। প্রযুক্তি যেমন কারো জন্য আশীর্বাদ, কারো জন্য তেমনি অভিশাপ।

ছাত্রদের গৌরবময় ইতিহাস রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে মনে হয় ছাত্ররাই পারবে। ছাত্ররা তাদের নিজেদের দাবি নিয়ে মাঠে নেমেছে। বাসের চাকায় এক শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার পর ছাত্ররা মাঠে নেমেছে। তাদের সংগঠিত করার জন্য কোনো নেতা না থাকলেও চেতনাই তাদের ঐক্যবদ্ধ করেছে। এ কারণে তারা পারছে। সুতরাং নতুন প্রেক্ষাপটে নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে।’

আমরা একটা আজব দেশে বাস করছি মন্তব্য করে গয়েশ্বর বলেন, ‘চিকিৎসার দাবিতেও যেখানে আন্দোলন করতে হয়। সবাইকে আহ্বান জানাবো এ আন্দোলন যেন সরকার পতনের আন্দোলন হয়।’

আমান উল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে ও ফজলুল হক মিলনের পরিচালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এছাড়া হাবিবুর রহমান, খায়রুল কবির খোকন, জহির উদ্দিন স্বপন, নাজিম উদ্দিন আলম, মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

বাংলাদেশ জার্নাল/কেএস/জেবি

  • সর্বশেষ
  • পঠিত