ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১ মিনিট আগে
শিরোনাম

রাজারবাগ পীরকে রক্ষায় প্রধানমন্ত্রীর হস্ত‌ক্ষেপ কামনা

  ​নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ২৭ নভেম্বর ২০২১, ১৮:৪৯

রাজারবাগ পীরকে রক্ষায় প্রধানমন্ত্রীর হস্ত‌ক্ষেপ কামনা
ছবি- সংগৃহীত

রাজারবাগ পীরকে রক্ষায় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছে বাংলাদেশ আওয়ামী উলামা পরিষদ। একইসঙ্গে পরিষদটি রাজারবাগ শরীফের বিরুদ্ধে জামায়াত-শিবির প্রভাবিত কুচক্রী মহ‌লের অপপ্রচার বন্ধের দাবিও জানান।

শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধন থেকে এসব দাবি ও হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বর্তমানে রাজারবাগ দরবার শরীফের বিরুদ্ধে যে ‘মিডিয়া কুৎসা’ রটানো চলছে তাতে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের ধর্মপ্রাণ জনগোষ্ঠী মর্মাহত। কারণ রাজারবাগ দরবার শরীফের পীর ১৯৭১ সালে ছাত্র অবস্থায় মুক্তিযুদ্ধ করেছেন। খাদ্য সহায়তা ও আর্থিক সহায়তা করেছেন। তার আপন ভাই ও ঘনিষ্ট আত্মীয়-স্বজনরাও মুক্তিযুদ্ধ করেছিলেন। পীরের মেজো ভাই হাফিজুর রহমান হারুণ সেক্টর-২ এর অধীনে ক্র্যাক প্ল্যাটুনের একজন গেরিলা যোদ্ধা হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। তাই প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমাদের আবেদন, তিনি যেন জামায়াত-জঙ্গিবাদ বিরোধী দরবার শরীফ, রাজারবাগ শরীফের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচারের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেন।

সিআইডি মিথ্যা রিপোর্ট দিয়েছে মন্তব্য করে তারা বলেন, রাজারবাগ দরবার শরীফ সম্পর্কে সিআইডির মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানে কীভাবে মিথ্যা রিপোর্ট দিতে পারল তা ভাবতেও অবাক লাগে। সিআইডি রিপোর্ট দিয়েছে, রাজারবাগ দরবার শরীফের পেছনে ৩ শতাংশ জমির ওপর তিনতলা বাড়ি দখলের জন্য কাঞ্চনের বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হয়েছে। অথচ প্রকৃত সত্য হলো, রাজারবাগ দরবার শরীফের পেছনে ৩ শতক জায়গায় কোনো বাড়িও নেই এবং কোনো তিনতলা বিল্ডিংও নেই। এরূপ মিথ্যা তথ্য রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা সিআইডি কী করে হাইকোর্টে পাঠাতে পারল এটা তদন্তের জন্য আমরা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে আহ্বান জানাচ্ছি।

বক্তারা আরও বলেন, রাজারবাগ শরীফ সম্পর্কে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন যে রিপোর্ট দিয়েছে সেটাই বর্তমান পৃথিবীতে মানবাধিকার লঙ্ঘনের সবচেয়ে বড় উদাহরণ। কারণ জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সম্পূর্ণ রিপোর্টে কোথাও রাজারবাগ শরীফের কোনো বক্তব্য নেই, রাজারবাগ শরীফের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করা হয়নি এবং জিজ্ঞাসাও করা হয়নি, আত্মপক্ষ সমর্থনের কোনো সুযোগ দেয়া হয়নি।

আল্লামা শোয়াইব আহমদের সভাপতিত্বে সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় মসজিদ বাইতুল মোকাররমের প্রধান মুয়াজ্জিন মাওলানা ক্বারী কাজী মাসউদুর রহমান, সম্মিলিত ইসলামী গবেষণা পরিষদের সভাপতি হাফেজ মাওলানা আ. সাত্তার, বাংলাদেশ ওলামা লীগের সেক্রেটারি মাওলানা আবুল হাসান শেখ শরীয়তপুরী, আব্দুস সবুর কাঞ্চনপুরী, মুহম্মদ আল আমিন কুরাইশী, মাওলানা মোকাম্মেল হোসেন, মাওলানা রফিকুল আলম সিদ্দিকী আল কুরাইশী, মাওলানা সৈয়দ ওমর ফারুকসহ মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত ১৩টি সমমনা দলের নেতৃবৃন্দ।

বাংলাদেশ জার্নাল/একে/এমজে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত