ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২৩ মিনিট আগে
শিরোনাম

ডিসেম্বরে ঝড়ের আশঙ্কা

  জার্নাল ডেস্ক

প্রকাশ : ২৮ নভেম্বর ২০২১, ১০:২৬

ডিসেম্বরে  ঝড়ের আশঙ্কা
ছবি: সংগৃহীত

বঙ্গোপসাগরের আন্দামান দ্বীপপুঞ্জের কাছে নতুন একটি লঘুচাপ সৃষ্টির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ডিসেম্বরের শুরুতে ওই লঘুচাপটি নিম্নচাপ হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। ঝড়টি ভারতের ওড়িশা উপকূলের দিকে যাওয়ার সময় বাংলাদেশের খুলনা–সাতক্ষীরা অঞ্চলে এর প্রভাব পড়তে পারে। কানাডার সাসকাচুয়ান ইউনিভার্সিটির আবহাওয়া ও জলবায়ুবিষয়ক বাংলাদেশি পিএইচডি গবেষক মোস্তফা কামাল এ কথা জানান।

তিনি বলেন, ‘লঘুচাপটি নিম্নচাপে পরিণত হয়ে ঘূর্ণিঝড়ের সৃষ্টি হলে এর উল্লেখযোগ্য অংশ বাংলাদেশের ওপর দিয়ে বয়ে যেতে পারে। মডেল পূর্বাভাসগুলো সে রকমই ইঙ্গিত দিচ্ছে। ঝড়টি আগামী ৫ থেকে ৭ ডিসেম্বরের মধ্যে স্থলভাগে উঠে আসতে পারে। ঘূর্ণিঝড় অথবা নিম্নচাপের কারণে ৪ ডিসেম্বর থেকে খুলনা ও বরিশাল বিভাগের জেলাগুলোতে এবং ৫, ৬ ও ৭ ডিসেম্বর পুরো দেশে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাত হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে।’

এ দিকে শনিবার রাতে আবহাওয়া অধিদপ্তরও বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ সৃষ্টির মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছে। তারা জানিয়েছে, নিম্নচাপটি ৩ থেকে ৪ ডিসেম্বরের মধ্যে ঘূর্ণিঝড় ‘জাওয়াদ’-এ রূপ নিতে পারে। নামটি সৌদি আরবের আবহাওয়াবিদদের দেয়া।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক বলেন, ‘আবহাওয়ার বিভিন্ন গাণিতিক মডেল ব্যবহারের পর যে ধারণা পাওয়া গেছে তাতে লঘুচাপটি সৃষ্টি হওয়ার পর তা দ্রুত ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। তবে সেটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে কি না? তা শতভাগ নিশ্চিত হতে আরও দু–এক দিন সময় লাগবে। এখন পর্যন্ত পাওয়া পূর্বাভাস অনুযায়ী তা ভারতের ওড়িশা উপকূলে আঘাত হানার সম্ভাবনা বেশি।’

আবহাওয়া ও জলবায়ুবিষয়ক গবেষক মোস্তফা কামাল আরও জানায়, ‘মডেল পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় হলে ভারতের ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গের সীমান্ত ঘেঁষে বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে আঘাত করতে পারে। ৫ ও ৬ ডিসেম্বর ঘূর্ণিঝড়টির অর্ধেক বাংলাদেশে ও বাকি অর্ধেক ভারতীয় অংশে আঘাত করতে পারে। শেষ পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড়টি পুরোপুরি বাংলাদেশের ওপর দিয়ে ভারতের মেঘালয় ও ত্রিপুরা রাজ্যে পর্যন্ত যেতে পারে।

মোস্তফা কামাল বলেন, ‘সম্ভাব্য এ ঘূর্ণিঝড়টির সৃষ্টি নিয়ে আমেরিকা, ইইউ ও কানাডাসহ প্রায় সব আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেল একই কথা জানিয়েছে। ’

ঘূর্ণিঝড় হলে ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১২ কিলোমিটার উচ্চতায় বায়ু পশ্চিম দিক থেকে পূর্ব দিকে প্রবাহিত হয়। বায়ুপ্রবাহের এই মান যদি বর্ণিত মডেল পূর্বাভাসের মতোই চলে তা হলে ঘূর্ণিঝড়টি বর্ণিত পথেই অগ্রসর হবে। কিন্তু বায়ুপ্রবাহের মান যদি একটু বৃদ্ধি পায়, তবে এ ঘূর্ণিঝড়টির কেন্দ্র খুলনা ও বরিশাল বিভাগের জেলাগুলোর ওপর দিয়ে প্রবেশ করে নোয়াখালী, ফেনী ও উত্তর চট্টগ্রামের ওপর দিয়ে ভারতে যেতে পারে বলে তিনি জানান।

বাংলাদেশ জার্নাল/জেবি

  • সর্বশেষ
  • পঠিত