ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৩০ মিনিট আগে
শিরোনাম

বালিয়াডাঙ্গীতে নির্বাচন

সময় গড়াতেই শঙ্কা বাড়ছে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের

  রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি:

প্রকাশ : ২৮ নভেম্বর ২০২১, ১০:২৮

সময় গড়াতেই শঙ্কা বাড়ছে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের

ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ৮ ইউনিয়নে তৃতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনের ভোট গ্রহণ চলছে। সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। সময় যত গড়াচ্ছে শঙ্কা বাড়ছে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের।

সকাল থেকেই বেশ উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটের আমেজ দেখা গেলেও ভোটকেন্দ্রে বিশৃঙ্খলার কথা বলছেন প্রার্থীরা। শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণের জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।

বিএনপি থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী এবং আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়নবঞ্চিত বিদ্রোহী প্রার্থীদের অভিযোগ, আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর কর্মীরা স্বতন্ত্র প্রার্থীদের কর্মী-সমর্থকদের ভোটকেন্দ্রে না যাওয়ার হুমকি-ধমকি দিচ্ছেন। এতে নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু ভোট নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন তারা।

তবে এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়ে নৌকার প্রার্থীরা বলছেন, নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু এবং উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় থেকে জানা গেছে, বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ৮ ইউপিতে ৩০ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ৮ জন। চার ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়নবঞ্চিত বিদ্রোহী প্রার্থী ৬ জন মাঠে লড়ছেন।

উপজেলা আওয়ামী লীগ থেকে ৪ জন বিদ্রোহী প্রার্থী ও বিদ্রোহীদের প্রচারণায় অংশ নেয়া ১০ জনকে বহিষ্কার করলেও কোনো লাভ হয়নি। ভোটের মাঠ এমনকি বিদ্রোহীদের হয়ে প্রচারণা থেকে সরে দাঁড়াননি কেউ।

অন্যদিকে জামায়াত-বিএনপির ১২ নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। কোনো দল ছাড়াই স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন আরও ৪ জন।

বড় পলাশবাড়ী ইউনিয়নের প্রচারণার শুরু থেকে বিদ্রোহী প্রার্থীর সঙ্গে নৌকা সমর্থিত প্রার্থীর সহিংসতা লেগেই আছে। পৃথক তিনটি ঘটনায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর দুটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেয়া এবং দুটি আওয়ামী লীগের অফিস ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।

ভানোর ইউনিয়নের বিদ্রোহী প্রার্থী রফিকুল ইসলাম জানান, নৌকা সমর্থিত প্রার্থী আব্দুল ওয়াহাব সরকার বিভিন্ন সভায় মাইকে হুমকি দিচ্ছেন। লাঠিসোঁটা তৈরি করে রেখেছেন, ভোটকেন্দ্রে গেলে দেখে নেবেন। এতে করে নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষতা নিয়ে যথেষ্ট শঙ্কা দেখা দিয়েছে। একই অভিযোগ ওই ইউনিয়নের অন্য ৩ স্বতন্ত্র প্রার্থীর।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে নৌকার প্রার্থী আব্দুল ওয়াহাব সরকার বলেন, ‘১৫ বছর ধরে চেয়ারম্যান আমি। অনেক উন্নয়ন করেছি। তা ছাড়া প্রধানমন্ত্রী আমাকে নৌকা প্রতীক দিয়েছেন। এলাকায় প্রচুর ভোট রয়েছে আমার। ভোটে হেরে যাবে বুঝতে পেরেই এসব অভিযোগ করছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা।’

বহিষ্কার হওয়া বড় পলাশবাড়ী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আমিনুল ইসলাম জানান, শুরু থেকে ভাঙচুর, জ্বালাও-পোড়া শুরু হয়েছে ইউনিয়নে। নৌকা প্রতীকের কর্মী-সমর্থকদের এমন কাণ্ডে ভোটাররা আতঙ্কিত।

সুষ্ঠু ভোট নিয়ে জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। তবে বড় পলাশবাড়ীতে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সাহাবুদ্দিন মিঞা বলেন, ‘মনোনয়নবঞ্চিত হয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী আমিনুল ইসলাম ও তার লোকজন ভোটের পরিবেশ নষ্ট করছেন।’

বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা যোবায়ের হোসেন বলেন, বড় পলাশবাড়ী ইউনিয়নে দুটি ঘটনা ঘটেছে। এগুলো পুলিশ ও প্রশাসন তদন্ত করছে। বাকি সব ইউনিয়নের পরিবেশ সুন্দর রয়েছে। ভোট সুষ্ঠু ভাবে শুরু হয়েছে। কেউ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করলে কঠোর হস্তে দমন করা হবে।

বাংলাদেশ জার্নাল/ওএফ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত