ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১ ঘন্টা আগে
শিরোনাম

সংঘর্ষ-সহিংসতায় শেষ হলো গাইবান্ধার ইউপি নির্বাচন

  গাইবান্ধা প্রতিনিধি

প্রকাশ : ২৮ নভেম্বর ২০২১, ১৭:৩১

সংঘর্ষ-সহিংসতায় শেষ হলো গাইবান্ধার ইউপি নির্বাচন
ছবি: প্রতিনিধি

গাইবান্ধায় নানাবিধ সহিংসতা, সংঘর্ষ ও উত্তেজনার মধ্যদিয়ে শেষ হয়েছে ভোটগ্রহণ। তৃতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনে জেলার সুন্দরগঞ্জ ও পলাশবাড়ী উপজেলার ১৯টি ইউনিয়নে ভোট অনুষ্ঠিত হয়। সকাল থেকে সুষ্ঠুভাবে ভোট চললেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে বেশ কয়েকটি ইউনিয়নে সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও রাবার বুলেট নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে।

গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার হোসেনপুর ইউপি নির্বাচনে দায়িত্ব পালনের সময় কর্তব্যরত পুলিশকে থাপ্পর মারার অভিযোগে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আলী আশরাফ মন্ডলকে আটক করেছে পুলিশ।

একই উপজেলার মনোহরপুর ইউনিয়নের নিমদাসের ভিটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে নকল ব্যালট পেপার সরবরাহ করার অপরাধে রুস্তম ও হারুন নামে দুজনকে এক বছরের সাজা দিয়েছেন গাইবান্ধার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট পার্থ ভদ্র'র ভ্রাম্যমাণ আদালত।

এদিকে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নের বৌলজান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ব্যালট পেপার ছিনতাইয়ের সময় পুলিশের সাথে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে একটি গ্রুপ। এ সময় পুলিশ ১০/১২ রাউন্ড গুলিবর্ষণ করে। শেষ পর্যন্ত ওই কেন্দ্রে ভোট স্থগিত করা হয়েছে। এ ঘটনায় কনস্টেবল মোমিনুল ও মাহবুব মিয়া আহত হয়েছেন। এছাড়া তিনজনকে আটকের খবর পাওয়া গেছে।

বৌলজান কেন্দ্রের সহকারি প্রিজাইডিং অফিসার তসলিম উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনার পর কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত রাখা হয়েছে। ব্যালট উদ্ধারে কাজ করছে পুলিশ।

উল্লেখ্য, তৃতীয় ধাপের এই ইউপি নির্বাচনে পলাশবাড়ী উপজেলার ৬ ইউনিয়নে মোট ভোটার ১ লাখ ২৫ হাজার ৬৪৭ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৬১ হাজার ১৮ ও মহিলা ৬৪ হাজার ৬২৯ জন। ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ৬০টি। ভোটগ্রহণের জন্য ৬০ জন প্রিসাইডিং অফিসার ও ৩৬৩ জন সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার ও ৪২৬ জন পোলিং অফিসার নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এ নির্বাচনে ৬টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৪৪ জন, সংরক্ষিত মহিলা সদস্য ১১১ জন ও সাধারণ সদস্য পদে ২৮৬ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

অপরদিকে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ১০ হাজার ৩০৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১ লাখ ৫২ হাজার ৮৪৩ জন এবং মহিলা ১ লাখ ৫৭ হাজার ৪৬০ জন। ১২৬টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণের জন্য ১২৬ জন প্রিসাইডিং অফিসার, ৮৮২ জন সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার ও ১ হাজার ৭৮৪ জন পোলিং অফিসার নিয়োগ দেয়া হয়েছে। নির্বাচনে ১৩টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ১০৩ জন, সংরক্ষতি মহিলা সদস্য পদে ২১৮ জন এবং সাধারণ সদস্য পদে ৫৫৯ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

এ নির্বাচনকে ঘিরে প্রতিটি ইউনিয়নে একজন করে নিবার্হী ম্যাজিস্ট্রেট, বিজিবি, র‍্যাব, পুলিশ, গ্রামপুলিশ, আনসারসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছেন।

বাংলাদেশ জার্নাল/এসকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত