ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১ মিনিট আগে
শিরোনাম

পঞ্চগড়ে শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ

  পঞ্চগড় প্রতিনিধি

প্রকাশ : ০১ ডিসেম্বর ২০২১, ০৪:৫৭  
আপডেট :
 ০১ ডিসেম্বর ২০২১, ০৫:০৩

পঞ্চগড়ে শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ
ছবি: প্রতিনিধি

পঞ্চগড়ে সদর উপজেলার গড়িনাবাড়ি ইউনিয়নে স্কুল বোর্ডের কাগজ দেখিয়ে নোটারী পাবলিক সই করে এসএসসি পরীক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এক সহকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত নতুনহাট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকের নাম আব্দুর রহিম।

এই ঘটনায় গত ২৪ নভেম্বর গড়িনাবাড়ি নতুনহাট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ওই স্কুল ছাত্রীর বাবা।

অভিযোগে তিনি বলেন, দীর্ঘ দিন ধরে আমার মেয়েকে বিভিন্ন ভাবে প্রলোভন দেখিয়ে আসছিল সে। কোনো সাড়া না পেয়ে সহকারী শিক্ষক আব্দুর রহিম এসএসসি পরীক্ষার স্কুল বোর্ডের কাগজে আমার মেয়ের অজান্তে ঢাকা জর্জ কোর্টের সহকারী আইনজীবির মাধ্যমে নোটারী পাবলিক কাগজে সই করে নেন। বিষয়টি আমার মেয়েকে জানিয়ে বিভিন্ন প্রকার লোভলালশা দিয়ে ধর্ষণ করে।

এদিকে বিষয়টি নিয়ে ওই স্কুল ছাত্রী ভারসাম্য হারিয়ে অসুস্থ হয়ে পরিবারের লোকজনকে ঘটনার কথা খুলে বলে। এতে প্রাথমিক ভাবে তার বাবা বিদ্যালয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। পরে এ ঘটনা নিয়ে জানা জানি হলে শিক্ষক আব্দুর রহিম ২৩ নভেম্বর প্রধান শিক্ষক বরাবরে একটি লিখিত ৬ দিনের ছুটির আবেদন করেন। স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ এলাকায় ছড়াছড়ি এবং ওই শিক্ষকের ছুটির দিন শেষ হওয়ায় স্থানীয় এলাকার অভিভাবক ও সর্বসাধারণ স্কুল এবং সড়ক অবরোধ করে। খবর পেয়ে সদর থানা পুলিশ ঘটনা স্থলে এসে পরিস্থিতি অনুকুলে আনে।

এলাকার বাসিন্দা শ্রী কালু রাম জানান, সহকারী স্কুল শিক্ষক আব্দুর রহিম ইতিপূর্বে নতুনহাট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের আরও এক ছাত্রীকে বিভিন্ন ভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে বিয়ে করেন এবং দুই থেকে তিন বছর সংসার করে তাকে ছেড়ে দেন। প্রথম স্ত্রীর মামলায় জেল হাজতেও থাকেন তিনি। তিনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি নষ্ট করছেন। এর সুষ্ঠ বিচার দাবী করছি।

ভিকটিমের চাচা জানান, আমার ভাতিজীকে দীর্ঘ তিন বছর ধরে বিভিন্ন ভাবে প্রলোভন দেখিয়ে আসতো রহিম। বিদ্যালয়ের কাগজে সই দেখিয়ে ভুয়া নোটারী পাবলিক কাগজ বানিয়ে তাকে ধর্ষণ করে। আমি তার সুষ্ঠ তদন্ত ও বিচার চাই। ওই স্কুলে আর তাকে যেন শিক্ষকতা করতে না দেখি।

ধর্ষিতা স্কুল ছাত্রীর সাথে কথা বলে জানা যায়, এসএসসি পরীক্ষার বোর্ডের কাগজের নামে নোটারী পাবলিক কাগজে সই করে আমার সাথে প্রতারণা এবং বিভিন্ন ভাবে ভয়ভীতি ও লোভলালশা দেখিয়ে আমাকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন তিনি। আমি তার আইনগত বিচার চাই।

এদিকে নতুনহাট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, সহকারী শিক্ষক আব্দুর রহিম ২৩ নভেম্বর একটি লিখিত ৬ দিনের ছুটির আবেদন করেন। আমি সেটা নামনজুর করি। আমার স্কুলের এসএসসি পরীক্ষার্থীর সাথে অনৈতিক সর্ম্পক ও ধর্ষণের অভিযোগ এসেছে আমার বরাবরে। এ ব্যাপারে ৫ সদস্য স্কুল শিক্ষক কমিটি গঠন করে দিয়েছি তাদের প্রতিবেদনে সত্যতা উঠে আসলে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

অভিযুক্ত স্কুল শিক্ষক আব্দুর রহিমের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। আর ছুটির বিষয়টি এড়িয়ে যান তিনি।

বাংলাদেশ জার্নাল/এএম

  • সর্বশেষ
  • পঠিত