ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৯ মিনিট আগে
শিরোনাম

ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে চট্টগ্রামে বৃষ্টি

  চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

প্রকাশ : ০৬ ডিসেম্বর ২০২১, ১৩:০৩

ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে চট্টগ্রামে বৃষ্টি
ছবি: প্রতিনিধি

ঘূর্ণিঝড় ‘জাওয়াদ’গভীর নিম্নচাপ থেকে দুর্বল হয়ে সুস্পষ্ট লঘুচাপ আকারে পরিণত হয়ে উপকূলের দিকে আরও কিছুটা এগিয়েছে। এটি আরও দুর্বল হয়ে সন্ধ্যা নাগাদ লঘুচাপে পরিণত হবে। যার কারণে উপকূলীয় এলাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অব্যাহত আছে।

তারই প্রভাবে চট্টগ্রাম নগরীতে রোববার রাত থেকে আজ সোমবার সকাল পর্যন্ত থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। এতে করে স্কুলে ও কর্মস্থলে যেতে নগরবাসীকে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়।

সোমবার সকাল ৯টা পর্যন্ত চট্টগ্রামে ১৫.১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপের কারণে গভীর সঞ্চালন মেঘমালা সৃষ্টি অব্যহত রয়েছে এবং বায়ুর তারতম্যের আধিক্যে বিরাজ করছে। সমুদ্রে সৃষ্ট এই গভীর নিম্নচাপের কারণে এই বৈরী আবহাওয়ায় হালকা হতে মাঝারি বা ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। নগর জুড়ে এ নিম্নচাপের প্রভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে।

সরেজমিনে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ এলাকা ঘুরে দেখা যায়, অফিস-আদালত যেতে কর্মজীবী মানুষদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে যাচ্ছে না মানুষ।

একে খান মোড়ের দোকানি লিমন বলেন, সারাদিন বৃষ্টি, কোনো কাস্টমার নেই। টুকটাক কেনাবেচা হয়েছে। এরপরও দোকানতো খুলতে হবে। তাই চলে এসেছি।

সকাল থেকে বৃষ্টির কারণে নগরীর সড়কগুলোতে যান চলাচল ছিল সীমিত। রাস্তায় যাত্রীও ছিল কম। তবে রিকশার আনাগোনা রয়েছে। এমন বৈরী আবহাওয়ার সবচেয়ে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে নিম্ন আয়ের মানুষের। একদিকে বৃষ্টি, আবার ঠাণ্ডার প্রকোপে তাদের কাজ থেমে নেই। এছাড়া ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে নদ-নদীগুলোতে জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে দুই ফুট বেশি বেড়ে গেছে। বৃষ্টির সঙ্গে বাতাস থাকায় বেড়েছে ঠাণ্ডা। গত রোববার থেকে সোমবার দেশের বেশির ভাগ এলাকায় বৃষ্টি নামছে। মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) থেকে দেশের বেশির ভাগ এলাকার আকাশ পরিষ্কার হতে থাকবে। ফলে তাপমাত্রা কমে গিয়ে ঠাণ্ডা বাড়তে পারে বলে জানা গেছে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস থেকে।

আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের টানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছে সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে।

পতেঙ্গা আবহওয়া অফিসের পূর্বাভাস কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়টি গভীর নিম্নচাপ থেকে লঘুচাপে পরিণত হয়েছে। গতকাল রাত থেকে থেমে থেমে বৃষ্টি হলেও সোমবার সকাল থেকে মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। গতকাল রাত ৯টা থেকে আজ সকাল ৯টা পর্যন্ত ১৫ দশমিক ১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এই বৃষ্টি আজ সারদিন এবং আগামীকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত থাকতে পারে।’

বাংলাদেশ জার্নাল/ওএফ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত