ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২ ঘন্টা আগে
শিরোনাম

মৃত্যুর পরও জয়নাল হাজারীর ফেসবুক থেকে একের পর এক পোস্ট!

  জার্নাল ডেস্ক

প্রকাশ : ২৮ ডিসেম্বর ২০২১, ১৮:৪৪

মৃত্যুর পরও জয়নাল হাজারীর ফেসবুক থেকে একের পর এক পোস্ট!
ছবি- সংগৃহীত

মৃত্যুর পরও ফেনী-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য জয়নাল হাজারীর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে একাধিক পোস্ট দেওয়া হয়েছে।

গতকাল সোমবার ‘Joynal Hazari’ নামের পেজ থেকে এসব পোস্ট দেয়া হয়। এ নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।

সোমবার রাত ৮টা ৫৪ মিনিটে দেওয়া একটি পোস্টে বলা হয়, ‘ফেনীর গণমানুষের নেতা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সম্মানিত সদস্য জননেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল হাজারী আর নেই। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।’

এর কিছু সময় পর ৯টা ৫ মিনিটে দেওয়া অন্য একটি পোস্টে বলা হয়, ‘আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সম্মানিত সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল হাজারীর ঢাকার নামাজের জানাজা আগামীকাল ২৮/১২/২০২১ সকাল ‘১০টায় বায়তুল মোকাররমে অনুষ্ঠিত হবে...।’

ধারণা করা হচ্ছে, ফেসবুক পেজে তার মৃত্যু ও দাফন সংক্রান্ত সঠিক খবরগুলো দ্রুত প্রচার করতেই হয়তো পোস্ট করেছেন বিশ্বস্ত কোনো কর্মী। পোস্টকারী জয়নাল হাজারীর অফিসের কোনো কর্মকর্তা হতে পারেন।

এর আগে গতকাল সোমবার (২৭ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন ফেনীর আওয়ামী লীগ দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য এবং আলোচিত রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব জয়নাল আবেদীন হাজারী।

রাজনৈতিক জীবন

জয়নাল হাজারী ১৯৮৪ সাল থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত প্রায় বিশ বছরের বেশি সময় ধরে ফেনী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফেনী-২ (ফেনী সদর) আসন থেকে ১৯৮৬, ১৯৯১ এবং ১৯৯৬ সালে তিনবার সাংসদ হিসেবে নির্বাচিত হন তিনি। তার অসুস্থতার জন্যে চিকিৎসা ব্যয় হিসেবে ৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ তারিখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার ত্রাণ তহবিল থেকে হাজারীকে ৪০ লাখ টাকার অনুদান প্রদান করে। তিনি বর্তমানে আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য ছিলেন।

বিতর্ক

হাজারী ১৯৯৬ সালে নির্বাচিত হবার পর, ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত ফেনীতে সন্ত্রাসের শিকার হয়ে প্রায় ১২০ জন রাজনৈতিক নেতা-কর্মীর মৃত্যু হয়। এই প্রেক্ষাপটের পেছেনে হাজারীকে সন্দেহ করা হয় এবং ২০০১ সালে তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ১৬ আগস্ট রাতে হাজারীর বাসভবনে অভিযান চালায় যৌথ বাহিনী। এরপরই তিনি আত্মগোপনে চলে যান। এপ্রিল, ২০০৪ সালে দল থেকে বহিষ্কৃত ঘোষণা করা হয় হাজারীকে। চার বছর পর ২০০৯ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচন আওয়ামী লীগ পুনরায় ক্ষমতায় আসার পর তিনি ভারত থেকে দেশে ফিরে আসেন এবং আদালতে আত্মসমর্পণ করেন।

ফেনীর ফুলগাজী উপজেলা চেয়ারম্যান একরামুল হক হত্যাকাণ্ডের পর নানান কারণে আলোচনায় উঠে আসানে হাজারী।

এছাড়া জয়নাল হাজারী হাজারিকা প্রতিদিন নামে একটি আঞ্চলিক দৈনিক পত্রিকা সম্পাদনা করে থাকেন, যা ফেনী থেকে প্রকাশিত হয়। তিনি এই পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা, প্রকাশক এবং সম্পাদক ছিলেন।

বাংলাদেশ জার্নাল/এমজে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত