ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২ মিনিট আগে
শিরোনাম

শৈলকুপায় অর্ধমাসে ৬ খুন

  ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

প্রকাশ : ১৩ জানুয়ারি ২০২২, ১৯:১৩

শৈলকুপায় অর্ধমাসে ৬ খুন
ছবি- প্রতিনিধি

ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার ভাটবাড়িয়া গ্রামের জসিম উদ্দিনের পরিবারে যেন কান্না থামছেই না। একমাত্র উপার্জনক্ষম ছেলেকে হারিয়ে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছে মা। শিশুসন্তান নিয়ে দিশেহারা স্ত্রী। নির্বাচনী সহিংসতা আর আধিপত্যের জেরে জসীম উদ্দিনের মতো খুন হয়েছে আরও ৬ জন। স্বজনহারা পরিবারগুলোতে চলছে আহাজারি।

ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলা আবারও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। আধিপত্য বিস্তার আর নির্বাচনী সহিংসতা নিয়ে দ্বন্দে ১৬ দিনে খুন হয়েছেন ৬ জন। আহত হয়েছেন অন্তত দুই শতাধিক মানুষ। অহরহ ঘটছে ভাংচুর, লুটপাটসহ অগ্নিসংযোগের মতো ঘটনা।

সচেতন মহল বলছেন, ক্ষমতাসীন দলের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের কারণেই এ সহিংসতা। এসব রোধ করতে প্রয়োজন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের হস্তক্ষেপ আর পুলিশ বিভাগের নিরপেক্ষতা। খুনের ঘটনায় ভাংচুর ও লুটপাট করা হয়েছে বাড়িঘর, দোকানপাট। নাজেহাল হয়ে অনেকেই ছেড়েছে বাড়িঘর।

এদিকে প্রশাসনের অসহযোগীতা ও দূরদর্শীতার অভাবকেই দুষছেন নিহতের স্বজনরা। দ্রুত সহিংসতা বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা আর আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবি নিহতের স্বজন ও এলাকাবাসীর।

তথ্য নিয়ে জানা গেছে, নির্বাচনী সহিংসতা আর আধিপত্য বিস্তার নিয়ে শৈলকুপা উপজেলায় ১৬ দিনে প্রাণ গেছে ৬ জনের। খুনের ঘটনায় পৃথক ৩টি মামলায় আসামি করা হয়েছে ২৬৯ জনকে। এ পর্যন্ত আটক করা হয়েছে মাত্র ২০ জনকে।

নিহত ছয়জন হলেন, শৈলকুপা উপজেলার কবিরপুর গ্রামের আহাম্মদ শেখের ছেলে স্বপন শেখ, কৃত্তিনগর আবাসনের বাসিন্দা হারান বিশ্বাস, ভাটবাড়িয়া গ্রামের আব্দুর ছাত্তারের ছেলে জসিম হোসেন, বারইহুদা গ্রামের কল্লোল খন্দকার, কাতলাগাড়ী এলাকার আব্দুর রহিম ও অখিল বিশ্বাস।

ঝিনাইদহ সচেতন নাগরিক সমাজের সভাপতি সায়েদুল আলম জানান, রাজনৈতিক ব্যক্তিদের সহযোগীতার মাধ্যমে পুলিশের নিরপেক্ষ কঠোর হস্তক্ষেপে এমন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব। তা না হলে এ সংঘাত আরও চলতে থাকবে।

শৈলকুপার ওসি রফিকুল ইসলাম জানান, পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে ও আসামি গ্রেপ্তারে পুলিশ তৎপরতা চালাচ্ছে। সহিংসতা এড়াতে শৈলকুপার বিভিন্ন গ্রামে পুলিশ কাজ করছে।

বাংলাদেশ জার্নাল/এসকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত