ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৬ মিনিট আগে
শিরোনাম

সাকরাইনে জনভোগান্তি

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ১৪ জানুয়ারি ২০২২, ২০:১৭

সাকরাইনে জনভোগান্তি

পৌষের বিদায় আজ। পৌষ মাসের শেষ দিনটিতে প্রাচীনকাল থেকেই পালিত হয় পুরান ঢাকাবাসীর ঐতিহ্যবাহী উৎসব সাকরাইন। সূর্যের আলো যখন মেলে উঠে, তখনি আকাশে উড়তে শুরু করে ঘুড়ি। বাসা-বাড়ির ছাদে কিশোর কিশোরীদের ঢল আর হৈ-হুল্লোড়। আকাশে দেখা দিতে থাকে চোখদার, পানদার, বলদার, দাবাদার, লেজওয়ালা, পতঙ্গ ইত্যাদি নামের ঘুড়ির আগমন। শুরু হয় নিজের ঘুড়িকে সর্বোচ উপরে উঠার প্রতিযোগিতা। শুরু হয় ঘুড়ি কাটাকাটির লড়াই।

শুক্রবার সকাল থেকেই পুরান ঢাকার বাসা বাড়ির ছাদে চলছে ঘুড়ি উড়ানোর প্রস্তুতি। ঘুড়ি উড়ানোর জন্য সুতা মাঞ্জা দেয়া থেকে শুরু করে পিঠা উৎসবের আয়োজন শুরু হয়েছে।

তবে সাকরাইন উৎসবকে ঘিরে ভোগান্তিও পোহাতে হয় মানুষকে। সারাদিন ও রাত ধরে মাইক ও সাউন্ডবক্সে উচ্চস্বরে গান বাজতে থাকে। বেশিরভাগ গানই চটকদার হিন্দি গান। শুক্রবার সকাল থেকেই দেখা যায় পুরান ঢাকার অনেক বাড়ির ছাদে শুরু হয়েছে সাউন্ড সিস্টেমে উচ্চস্বরে গান বাজনা।

কবি নজরুল কলেজের ছাত্র মাহমুদুল ইসলামের সাথে এ ব্যাপারে কথা বললে, সে বিরক্তি প্রকাশ করে বলে যে সামনের সপ্তাহে তার চাকরির পরীক্ষা। কিন্তু সে শব্দদূষণের যন্ত্রণায় কিছুতেই পড়াশোনায় মনোনিবেশ করতে পারছেন না। জরুরি সেবা ৯৯৯ এ ফোন করেও কোন প্রতিকার পায়নি বলে উল্লেখ করে মাহমুদ। ওখান থেকে তাকে স্থানীয় থানায় যোগাযোগ করতে বলা হয়। মাহমুদের মত আরও অনেকেই এ ব্যাপারে থানায় যোগাযোগ করেছেন বলে নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় থানা পুলিশ।

মহানগরের সূত্রাপুর থানায় অভিযোগ বিষয়ে খোঁজ নিলে ডিউটি অফিসার এসআই ফিরোজ আলী অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, সকাল ৯ টা থেকে আমার ডিউটি শুরু হওয়ার পর ১০ টার মধ্যে চার পাঁচটি অভিযোগ পেয়েছি।

অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে দাবি করেন এই পুলিশ কর্মকর্তা। কয়েকবার সাবধান বুঝিয়ে আসার পরও সাউন্ডবক্স বন্ধ না করলে সাউন্ড বক্স জব্দ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।

উল্লেখ্য, এবারের সাকরাইন উৎসবে নিষিদ্ধ থাকছে ফানুস ও আতশবাজি। পৌষ মাসের শেষ দিন পৌষ সংক্রান্তির এ অনুষ্ঠান ঘিরে ইতোমধ্যে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।

এ প্রসেঙ্গ ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা সাকরাইন উৎসবে নিষেধাজ্ঞা দেয়ার ব্যবস্থা করছি। তারা যাতে এমন উদযাপন না করে সেজন্য পুরান ঢাকার বিভিন্ন কমিউনিটির নেতাদের সঙ্গেও কথা বলবো। মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে এ ধরনের কার্যক্রম বন্ধ করা কঠিন। কমিউনিটি নেতাদের সঙ্গে কথা বলে এগুলো বন্ধের উদ্যোগ নিচ্ছি।

বাংলাদেশ জার্নাল/এআর/এমএম

  • সর্বশেষ
  • পঠিত