ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২০ মিনিট আগে
শিরোনাম

সিজারের সময় ভাঙলো নবজাতকের হাত, হাসপাতাল বন্ধ

  ফরিদপুর প্রতিনিধি

প্রকাশ : ১৯ জানুয়ারি ২০২২, ২১:০৩

সিজারের সময় ভাঙলো নবজাতকের হাত, হাসপাতাল বন্ধ
ছবি: প্রতিনিধি

ফরিদপুরে আল মদিনা প্রাইভেট হাসপাতালে সিজার করার সময় নবজাতকের কপাল কেটে ফেলার ঘটনার পর এবার নবজাতকের হাত ভেঙে ফেলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনাটি ঘটেছে ফরিদপুর শহরের পশ্চিম খবাসপুরে অবস্থিত আরামবাগ প্রাইভেট হাসপাতাল নামের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে। পরে নানা অনিয়মের অভিযোগের ভিত্তিতে হাসপাতালটি বন্ধ করে দিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ।

বুধবার দুপুরে হাসপাতালটিতে অভিযান পরিচালনা করেন ফরিদপুরের সিভিল সার্জন ডা. ছিদ্দিকুর রহমান ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।

গত ১৩ ডিসেম্বর ফরিদপুর শহরের পশ্চিম খাবাসপুরে অবস্থিত আরামবাগ প্রাইভেট হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও ডাক্তারদের অবহেলার কারণে নবজাতকের হাত ভাঙে ওই নবজাতকের। এ বিষয়ে গতকাল মঙ্গলবার ফরিদপুর জেলা প্রশাসক ও ফরিদপুর সিভিল সার্জন বরাবর লিখত অভিযোগ দায়ের করেন স্থানীয় বাসিন্দা আরিফুল আলম সজল।

লিখিত অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, হাসপাতালটিতে সিজারের জন্য তার প্রসূতি স্ত্রীকে ভর্তি করা হয়। ভর্তির পরপরই বাচ্চা ডেলিভারির জন্য অপারেশন থিয়েটারে সিজার করা হয়। কিন্তু অপারেশন চলাকালীন সময়ে ডাক্তারদের অবহেলা বা গুরুত্ব না থাকায় নব জন্ম নেয়া শিশুবাচ্চার হাত অতিরিক্ত টান দিয়ে হাতের কনুই থেকে হাড়ের জয়েন্ট ছাড়িয়ে ফেলে। হাসপাতাল থেকে বের হওয়ার সময় কর্তৃপক্ষ কোন কিছু না জানানোর কারণে ভুক্তভোগীরা স্বাভাবিকভাবে ছাড়পত্র নিয়ে হাসপাতাল ত্যাগ করেন। পরের দিন বাচ্চার ব্যথা অনুভব হওয়ায় পুনরায় শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দেখান। পরে ঢাকা হেলথ এন্ড হোপ হাসপাতালে অধ্যাপক ডা. সারোয়ার ইবনে সালামের নিকট রিফার্ড করা হয়। বর্তমানে সেখানেই সেই বাচ্চার চিকিৎসা চলছে।

বর্তমান ডাক্তারের সাহায্যে তারা জানতে পারেন সিজারের সময় অবহেলার কারণেই বাচ্চার হাতের কনুই আলাদা হয়ে যায়। পরবর্তীতে পুনরায় আরামবাগ হাসপাতালে যোগাযোগ করলে ডা. শারমিন সুলতানা জুইসহ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নবজাতকের অবিভাবক আরিফুল আলম সজলের সাথে অসৌজন্যমূলক ব্যবহারের মাধ্যমে হুমকি দেয়।

এ বিষয়ে নবজাতকের বাবা আরিফুল ইসলাম সজল বলেন, আমার বাচ্চার শারীরিক নির্যাতন, আর্থিক ও মানষিক নির্যাতনের জন্য উল্লেখিত হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও ডাক্তারের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। আগেও অন্য একটি বাচ্চা ডেলিবারির সময় এরকমই ঘটনা ঘটেছে বলে পরে জানতে পেরেছি।

হাসপাতালটি বন্ধের সত্যতা নিশ্চিত করে ফরিদপুরের সিভিল সার্জন ডা. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ডাক্তার ও পর্যাপ্ত নার্স না থাকা এবং অপ্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নার্স দিয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করার অভিযোগে হাসপাতালটির সকল কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

বাংলাদেশ জার্নাল/এসকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত