ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১১ মিনিট আগে
শিরোনাম

খোলা ছিল ব্যালটের বস্তা, ভোট পুণঃগণনায় আদালতের নাকচ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ২১ জানুয়ারি ২০২২, ১০:২১

খোলা ছিল ব্যালটের বস্তা, ভোট পুণঃগণনায় আদালতের নাকচ
ছবি- সংগৃহীত

ইউপি নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগে আদালতে ভোট পুনরায় গণনার দাবি জানান এক চেয়ারম্যান প্রার্থী। তবে বস্তার মুখ খোলা থাকায় ভোট পুণঃগণনা করেননি আদালত। অন্যদিকে, ভোট পুনরায় গণনার কার্যক্রমে বাধা সৃষ্টির অভিযোগ তুলেছেন আদালতে যাওয়া ওই প্রার্থী।

সাতক্ষীরার তালা উপজেলার সরুলিয়া ইউনিয়নে এ ভোট কারচুপির অভিযোগ উঠে। এ অভিযোগে সাতক্ষীরা নির্বাচন ট্রাইব্যুনাল আদালতে মামলা করেন আনারস প্রতীকের প্রার্থী আব্দুর রব পলাশ। পরে আদালতের নির্দেশনায় বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে তালা নির্বাচন কার্যালয় থেকে ব্যালটগুলো নিয়ে যাওয়া হয় আদালতে। এসময় বস্তার মুখ খোলা থাকায় বিচারক মোহাম্মদ নাসিরউদ্দীন ফরাজী তা গ্রহণ করেননি।

ওই ইউনিয়নের নির্বাচিত চেয়ারম্যান আব্দুল হাইও বস্তার মুখ খোলা থাকায় আপত্তি করেছেন বলে জানান উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা রাহুল রায়।

এর আগে প্রথম ধাপে গত বছরের ২০ সেপ্টেম্বর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয় তালা উপজেলার ১১টি ইউনিয়নে। এর মধ্যে রয়েছে সরুলিয়া ইউনিয়ন। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নৌকা প্রতীক নিয়ে অংশ নেন মতিয়ার রহমান, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আনারস প্রতীক নিয়ে অংশ নেন আব্দুর রব পলাশ ও মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে আব্দুল হাই। রিটানিং কর্মকর্তা ঘোষিত ফলাফলে নৌকা প্রতীক ৪ হাজার ৯০০, আনারস প্রতীক ৫ হাজার ২৯৫ ও মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে আব্দুল হাই পেয়েছেন ৫ হাজার ৬৪৬ ভোট।

মামলার বাদী আব্দুর রব পলাশ বলেন, উপজেলা নির্বাচন অফিসে থেকে ব্যালট পেপারসহ নির্বাচনী কাগজপত্র বিচারকের নির্দেশে আদালতে নিয়ে যাওয়ার সময় আব্দুল হাইয়ের নেতৃত্বে ১৫-২০ জন ব্যালট পেপারের বস্তাগুলো নিয়ে টানাহেঁচড়া শুরু করে। তাৎক্ষণিক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। মূলত ভোট পুনরায় গণনায় তিনি পরাজিত নিশ্চিত জেনেই কাজে বাধা সৃষ্টি করছেন। এ ঘটনায় আমি সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছি।

মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী পঙ্কজ কুমার দেবনাথ বলেন, আদালত ব্যালট পেপারগুলো তলব করেছিল। তবে বস্তার মুখ সিলগালা না থাকায় আদালতের বিচারক সেগুলো গ্রহণ করেননি।

অন্যদিকে তালা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা রাহুল রায় বলেন, ব্যালটের বস্তাগুলো একটি ঘরের মধ্যে স্তূপ করে রাখা ছিল। সেখানে অনেকগুলো বস্তা রয়েছে। সেখান থেকে বের করার সময় বস্তার মুখটা খুলে যায়। এই বিষয়ে আমরা আদালতের পরবর্তী নির্দেশনার অপেক্ষায় রয়েছি।

বাংলাদেশ জার্নাল/পিএল

  • সর্বশেষ
  • পঠিত