ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৮ মিনিট আগে
শিরোনাম

উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে

এবার গণঅনশনে শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা

  শাবিপ্রবি প্রতিনিধি

প্রকাশ : ২২ জানুয়ারি ২০২২, ২১:৪০  
আপডেট :
 ২২ জানুয়ারি ২০২২, ২১:৪৫

এবার গণঅনশনে শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা
ছবি- প্রতিনিধি

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগ দাবিতে এবার গণঅনশনের ঘোষণা দিয়েছেন শাবিপ্রবির আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলচত্বর থেকে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এই ঘোষণা দেন তারা। এখন পর্যন্ত ইফতেখার আল মাহমুদ, সামিউল এহসান শাফিন ও ছামিরা ফারজানা নামে তিনজন শিক্ষার্থী গণঅনশন করতে সই করেছেন।

সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা বলেন, উপাচার্যকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে আমরা আন্দোলনে নামি। ২৩ জন শিক্ষার্থী তিনদিন ধরে কিছু না খেয়ে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছে। কিন্তু তিনি এখন পর্যন্ত পদত্যাগ করেননি। শিক্ষামন্ত্রী ঢাকায় আলোচনা করার জন্য আমন্ত্রণ জানালেও আমাদের পক্ষে ঢাকা যাওয়ার মতো অবস্থা নেই। কারণ প্রতিনিধি দলে আছেন অনশনরত এক শিক্ষার্থী। তাই আমরা শিক্ষামন্ত্রীকে আহ্বান জানাই, তিনি যদি একটু সময় বের করে আমাদের সঙ্গে দেখা করতে আসেন।

৭৫ ঘণ্টা টানা অনশন করে শাবিপ্রবির শিক্ষার্থীরা যখন মৃত্যুর দোরগোড়ায়, তখনো উপাচার্য পদত্যাগ করেননি উল্লেখ তারা বলেন, অনশনরতদের মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়তে দেখে গণঅনশনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। অনশনরত অবস্থায় কারও মৃত্যু হলে তার দায়ভার উপাচার্যকেই নিতে হবে।

উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগপত্র স্বচক্ষে না দেখা পর্যন্ত অনশন চলমান থাকবে বলেও জানান শিক্ষার্থীরা। এসময় আন্দোলনকারী সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা ও বাইরের শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসে প্রবেশ না করার অনুরোধ জানান তারা।

১৩ আগস্ট থেকে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের প্রভোস্ট কমিটির পদত্যাগসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা। পরে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিও সামনে আসে আন্দোলনে।

গত রোববার (১৬ জানুয়ারি) বিকেলে তিন দফা দাবি আদায়ে উপাচার্যকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইআইসিটি ভবনে অবরুদ্ধ করেন শিক্ষার্থীরা। পরে পুলিশ উপাচার্যকে উদ্ধার করতে গেলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ওই সময় পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড, টিয়ারসেল ও রাবার বুলেট ছুড়ে শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এতে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হন। পুলিশ ৩০০ জনকে অজ্ঞাত দেখিয়ে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে মামলা করে।

১৯ জানুয়ারি বিকেলে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে তার বাসভবনের সামনে আমরণ অনশন শুরু করে ২৩ জন শিক্ষার্থী। একই দাবিতে পরদিন বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে কয়েকশো শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসে মশাল মিছিল বের করেন। অনশনে অসুস্থ ১৬ শিক্ষার্থী বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এছাড়া বাকিদের স্যালাইন দেওয়া হচ্ছে।

বাংলাদেশ জার্নাল/এএম

  • সর্বশেষ
  • পঠিত