ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : কিছুক্ষণ আগে
শিরোনাম

হত্যা মামলার রায়ের ১৮ বছর পর আসামি গ্রেপ্তার

  চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

প্রকাশ : ২৩ জানুয়ারি ২০২২, ১৫:৫২

হত্যা মামলার রায়ের ১৮ বছর পর আসামি গ্রেপ্তার
ছবি- প্রতিনিধি

চট্টগ্রামের নাজিরহাট কলেজের অধ্যক্ষ গোপাল কৃষ্ণ মহুরী হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি মহিউদ্দিন র‍্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন। ১৮ বছর পর গত শনিবার রাতে গোপন সংবাদে নগরীর পাঁচলাইশ থানার সুগন্ধা আবাসিক এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে র‌্যাব-৭ এর হাটহাজারি ক্যাম্প কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহফুজুর রহমান জানান, ২০০৩ সালে এ মামলার রায় ঘোষণার পর পালিয়ে দুবাই চলে গিয়েছিলেন আসামি মহিউদ্দিন। প্রায় ১৮ বছর প্রবাসে পালিয়ে থাকার পর গত ২৯ অক্টোবর তিনি দেশে আসেন। রোববার রাতের ফ্লাইটে মহিউদ্দিনের দুবাই ফিরে যাওয়ার কথা ছিল। সেজন্য শনিবার সে করোনা টেস্টের নমুনাও দিয়েছিল। গোপন সংবাদে রাতে তাকে সুগন্ধা আবাসিক এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

প্রসঙ্গত, ২০০১ সালের ১৬ নভেম্বর চট্টগ্রাম নগরীর জামাল খান রোডে অধ্যক্ষ গোপাল কৃষ্ণ মুহুরীর বাসায় ঢুকে তার মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে গুলি করে হত্যা করে জামায়াত-শিবির কর্মীরা। তার স্ত্রী রেলওয়ের তৎকালীন অডিট কর্মকর্তা উমা মুহুরী সেদিনই নগরীর কোতোয়ালী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। হত্যা মামলার বিচার শেষে আদালত নাসির ওরফে গিট্টু নাসির, আজম, আলমগীর ও মন্টুকে মৃত্যুদণ্ড দেয়। এছাড়া রায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয় মহিউদ্দিন ওরফে মহিনউদ্দিন, হাবিব খান, সাইফুল ওরফে ছোট সাইফুল ও শাহাজাহানকে।

বিচারিক আদালতের ওই রায়ের পর মামলার ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে আসে। পাশাপাশি কারাগারে থাকা আসামিরাও আপিল করেন। এর মধ্যে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া গিট্টু নাসির ২০০৫ সালের ২ মার্চ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন। মারা যান যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত ছোট সাইফুলও।

হাইকোর্ট শুনানি শেষে বাকি ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে ২০০৬ সালের ১৯ জুলাই রায় দেন। সেই রায়ে যাবজ্জীবন সাজার আসামি শাহাজাহান ও সাইফুল ওরফে ছোটো সাইফুল খালাস পান। অন্যদের সাজা বহাল থাকে। এরপর মৃত্যদণ্ডের তিন আসামি খালাস চেয়ে আপিল করেন। তারা হলেন- আলমগীর কবির, তসলিম উদ্দীন ওরফে মন্টু ও মোহাম্মদ আজম। পরে গত বছরের ৬ অক্টোবর আপিলের শুনানি করে আপিল বিভাগ হাইকোর্টের রায় সংশোধন করে চূড়ান্ত রায় দেন। রায়ে সর্বোচ্চ আদালত আপিল খারিজের পাশাপাশি সাজা সংশোধন করে আসামিদের আমৃত্যু কারাদণ্ড দেন এই তিন আসামিকে।

বাংলাদেশ জার্নাল/পিএল

  • সর্বশেষ
  • পঠিত