ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১ মিনিট আগে
শিরোনাম

মিতু হত্যাকাণ্ড

পিবিআইয়ের চূড়ান্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে বাবুলের শ্বশুরের নারাজি

  চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

প্রকাশ : ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৮:০৫

পিবিআইয়ের চূড়ান্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে বাবুলের শ্বশুরের নারাজি
ফাইল ছবি

চট্টগ্রামের চাঞ্চল্যকর মিতু হত্যাকাণ্ডে সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারের শ্বশুরের করা মামলায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) দেয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে নারাজি আবেদন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার চট্টগ্রামের অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল হালিমের আদালতে নারাজি আবেদনটি করেন বাবুলের শ্বশুর মোশাররফ হোসেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন বাদীর আইনজীবী আহসানুল হক। তিনি জানান, পিবিআই বাদীর বক্তব্য গ্রহণ করেনি। বাবুলের দুই সন্তানের একজন ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী। তার সঙ্গে কথা না বলে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয়া হয়েছে। এসব কারণসহ নানা ত্রুটি তুলে ধরে পিবিআইয়ের দেয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ না করে অধিকতর তদন্তে পাঠানোর জন্য আদালতে নারাজি আবেদন দেয়া হয়েছে। আদালত মামলার সিডিসহ (নথি) শুনানির জন্য আগামী ৬ মার্চ তারিখ ধার্য করেছেন।

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ৫ জুন চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি মোড়ে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় মোটরসাইকেলে করে তিন দুর্বৃত্ত মিতুকে ঘিরে ধরে। প্রথমে তারা তাকে গুলি করে। এরপর কুপিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে পালিয়ে যায়। ওই সময় মিতুর স্বামী বাবুল আক্তার পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি পেয়ে পুলিশ সদর দপ্তরে যোগ দিয়ে ঢাকায় অবস্থান করছিলেন।

এ ঘটনায় নগরীর পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাতদের আসামি করে হত্যা মামলা করেন বাবুল আক্তার। মামলাটি চট্টগ্রামের নগর গোয়েন্দা পুলিশের কাছে ৩ বছর ১১ মাস তদন্তে থাকার পর গত বছরের মে মাসে পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশনে (পিবিআই) হস্তান্তর করা হয়।

তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে বাবুল আক্তারকে গ্রেপ্তার করে পিবিআই। এরপর মিতু হত্যাকাণ্ডে বাবুল আক্তারকে প্রধান আসামি করে মোট ৮ জনের বিরুদ্ধে গত ১২ মে মিতুর বাবা মোশারফ হোসেন পাঁচলাইশ থানায় এজাহার দায়ের করেন।

এজাহারে সাবেক এসপি মিতুর স্বামী বাবুল আক্তার, কিলিং স্কোয়াডের সদস্য মো. কামরুল ইসলাম সিকদার ওরফে মুসা, এহতেশামুল হক ওরফে ভোলা, মো. মোতালেব মিয়া ওরফে ওয়াসিম, মো. আনোয়ার হোসেন, মো. খায়রুল ইসলাম ওরফে কালু ওরফে কসাই কালু, মো. সাইদুল ইসলাম সিকদার ওরফে সাকু মাইজ্যা ও শাহজাহান মিয়াকে আসামি করা হয়েছিলো। যদিও এদের মধ্যে ২ জন পুলিশের সঙ্গে 'বন্দুকযুদ্ধে' ইতোমধ্যেই প্রাণ হারিয়েছেন এবং বর্তমানে জেলে আছেন ২ জন। পুলিশের তথ্যমতে, কিলিং স্কোয়াডের নেতৃত্বদানকারী মুসা পলাতক রয়েছেন।

এছাড়া স্ত্রী হত্যা মামলার প্রধান আসামি বাবুল আক্তারকে পাঁচ দিনের রিমান্ড নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পিবিআই। রিমান্ড শেষে প্রথমে আদালতে জবানবন্দি দেয়ার কথা থাকলেও পরে জবানবন্দি দেননি বাবুল। ২৯ মে থেকে বাবুল আক্তার ফেনী কারাগারে আছেন।

বাংলাদেশ জার্নাল/এসকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত