ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৪ মিনিট আগে
শিরোনাম

হাসপাতাল থেকে ফেলে দিলো রোগীকে, দায়িত্ব নিলেন এসপি

  হারুন-অর-রশীদ, ফরিদপুর প্রতিনিধি

প্রকাশ : ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ২০:৩৭

হাসপাতাল থেকে ফেলে দিলো রোগীকে, দায়িত্ব নিলেন এসপি
ছবি: প্রতিনিধি

ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা না দিয়ে রোগীকে খোলা আকাশের নিচে রাস্তায় ফেলে দেন একজন আয়া। পরে ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে পুলিশ গিয়ে ওই রোগীকে উদ্ধার করে পুনরায় হাসপাতালে ভর্তি করার ব্যবস্থা করেন। এ সময় ওই রোগীর পুরো চিকিৎসার দায়িত্ব নেন ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. আলিমুজ্জামান।

শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ওই রোগীর নাম মোশারফ হোসেন। তার বাড়ি ঝিনাইদাহ জেলার শৈলকুপা এলাকায়।

ফরিদপুর কোতয়ালী থানার এসআই সুজন জানান, মোশারফ হোসেন ঝিনাইদাহ থেকে ফরিদপুরে দিনমুজুরের কাজে এসেছিল। গত ২৫ দিন আগে ফরিদপুরের মধুখালীতে সড়ক দুর্ঘটনায় তিনি মারাত্নক আহত হন। মধুখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তির পর তার অবস্থার অবনতি হয়। পরে তাকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় শুক্রবার সকালে এক আয়া ট্রলিতে করে ওই ব্যক্তিকে হাসপাতালের প্রধান ফটকের সামনে ফরিদপুর-বরিশাল রোডে ফেলে দিয়ে যায়।

এ ঘটনায় এলাকাবাসী ৯৯৯-এ কল করলে পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে। পরে এসপির নির্দেশে তাকে উদ্ধার করে পুনরায় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। এ সময় ওই রোগীর পুরো দায়িত্ব পুলিশ সুপার।

ট্রলিতে করে মোশারফকে হাসপাতালের প্রধান ফটকের সামন ফেলে দেয়া হয়

অসুস্থ মোশারফ হোসেন বলেন, আমি অনেক অনুনয় বিনয় করলেও হাসপাতালের ডাক্তার আমাকে কোনো চিকিৎসাসেবা দেননি। আমাকে একটি ট্যাবলেটও দেননি। অসুস্থ অবস্থায় রোদের মধ্যে রাস্তায় ফেলে দিয়ে গেছে। পরে এসপি স্যারের নির্দেশে জেলা পুলিশ আমাকে পুনরায় হাসপাতালে ভর্তি করানোর ব্যবস্থা করেন। এছাড়া স্যার (এসপি) আমার পুরো দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। আমি এসপি স্যারের প্রতি কৃতজ্ঞ। আল্লাহ যেন তাকে ভালো রাখেন।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সুমন রঞ্জন সরকার জানান, ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে পুলিশ ওই রোগীকে উদ্ধার করে। পরে এসপির নির্দেশে রোগীকে পুনরায় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। এ সময় এসপি ওই রোগীর পুরো দায়িত্ব নেন।

পুলিশ সুপার মো. আলিমুজ্জামান বলেন, পুলিশ সবসময় মানুষের জন্যেই কাজ করেন। মানুষের বিপদে-আপদে পাশে থাকায় তাদের কাজ। আমরা খবর পেয়ে ওই রোগীকে উদ্ধার করার ব্যবস্থা করি। পরে তাকে চিকিৎসার জন্য পুনরায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া ওই রোগীর যাবতীয় চিকিৎসাসহ সব দায়িত্ব জেলা পুলিশের পক্ষে থেকে নেয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ জার্নাল/এসকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত