ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২০ মিনিট আগে
শিরোনাম

ডেসটিনির অর্থ আত্মসাৎ: এক মামলার রায় ১২ মে

  জার্নাল ডেস্ক

প্রকাশ : ২৭ মার্চ ২০২২, ১৭:৪৩

ডেসটিনির অর্থ আত্মসাৎ: এক মামলার রায় ১২ মে
হারুন-অর-রশিদ ও রফিকুল আমীন

ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটির গ্রাহকের অর্থ আত্মসাৎ ও পাচারের মামলায় ডেসটিনি গ্রুপের প্রেসিডেন্ট সাবেক সেনাপ্রধান হারুন-অর-রশিদ ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল আমীনসহ আসামিদের সাজার রায় আগামী ১২ মে।

রোববার দুপক্ষের যুক্তিতর্কের শুনানি শেষে ঢাকার চতুর্থ বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শেখ নাজমুল আলম রায়ের এ দিন ঠিক করেন।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী মীর আহমেদ আলী সালাম জানান, রাষ্ট্রপক্ষের এ মামলায় মোট ২০২ জনের সাক্ষ্য শুনেছেন আদালত। আসামিদের মধ্যে ডেসটিনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল আমীন নিজেই সাফাই সাক্ষ্য দিয়েছেন।

২০১২ সালের ৩১ জুলাই রাজধানীর কলাবাগান থানায় দুদক উপপরিচালক মো. মোজাহার আলী সরদার ও সহকারী পরিচালক মো. তৌফিকুল ইসলাম মামলা দুটি করেন। ২০১৪ সালের ৫মে দুদক তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়। এর মধ্যে ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটির মামলায় ৪৬ জন এবং ডেসটিনি ট্রি প্লানটেশন লিমিটেডে দুর্নীতির মামলার ১৯ জনকে আসামি করা হয়। হারুন-অর-রশিদ ও রফিকুল আমিন দুই মামলারই আসামি।

অভিযোগপত্রে বলা হয়, মাল্টি পারপাস কো-অপারেটিভ প্রোজেক্টের নামে ডেসটিনি ২০০৮ সাল থেকে বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করেছিল ১ হাজার ৯০১ কোটি টাকা। সেখান থেকে ১ হাজার ৮৬১ কোটি টাকা আত্মসাৎ করা হয়, যা দুদকের অনুসন্ধানে ধরা পড়ে। ওই অর্থ আত্মসাতের ফলে সাড়ে ৮ লাখ বিনিয়োগকারী ক্ষতির মুখে পড়েন।

আর ডেসটিনি ট্রি প্লান্টেশন প্রোজেক্টের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ২ হাজার ৪৪৫ কোটি টাকা সংগ্রহ করে। এর মধ্যে ২ হাজার ২৫৭ কোটি ৭৮ লাখ ৭৭ হাজার টাকা আত্মসাত করা হয়। এর ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হন সাড়ে ১৭ লাখ বিনিয়োগকারী। তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, ডেসটিনি গ্রুপের নামে ২৮টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বেশ কয়েকটি ছিল নামসর্বস্ব। আসামিরা প্রথমে প্রোজেক্টের টাকা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের হিসাবে জমা করতেন তারপর বিভিন্ন ব্যাংকের হিসাবে তা স্থানান্তর করা হতো।

৩৪টি ব্যাংকে এ রকম ৭২২টি হিসাবের সন্ধান পায় দুদক। যেগুলো পরে জব্দ করা হয়। আত্মসাত করা চার হাজার ১১৯ কোটি টাকার মধ্যে ৯৬ কোটি টাকা বিদেশে পাচারের অভিযোগও আনা হয় দুই মামলায়।

বাংলাদেশ জার্নাল/এমএস

  • সর্বশেষ
  • পঠিত