ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৯ মিনিট আগে
শিরোনাম

ব্লগার বিজয় দাশ হত্যায় ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড

  সিলেট প্রতিনিধি

প্রকাশ : ৩০ মার্চ ২০২২, ১৩:০২  
আপডেট :
 ৩০ মার্চ ২০২২, ১৪:১৬

ব্লগার বিজয় দাশ হত্যায় ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড
ব্লগার ও বিজ্ঞান লেখক অনন্ত বিজয় দাশ

সিলেটে ব্লগার ও বিজ্ঞান লেখক অনন্ত বিজয় দাশ হত্যা মামলার চারজনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ মামলায় খালাস পেয়েছেন একজন।

বুধবার দুপুরে সিলেটের সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. নুরুল আমীন বিপ্লব এই রায় ঘোষণা করেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- আবুল খায়ের রশীদ, আবুল হোসেন, ফয়সাল আহমদ ও মামুনুর রশীদ। এছাড়া সাফিউর রহমান ফারাবির বিরুদ্ধে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কোনো প্রমাণ না পাওয়ায় খালাস দেয়া হয়েছে। ইয়াইয়া ওরফে ইবনে মঈন কারাগারে মৃত্যুবরণ করায় তাকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত।

সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর মমিনুর রহমান টিটু মামলার রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করলেও খালাসপ্রাপ্ত আসামির বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন বলে জানিয়েছেন বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সমর বিজয় সি।

এদিকে এই হত্যাকাণ্ডের সাথে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই বলে জানিয়েছেন আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুল আহাদ। রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন বলে জানান তিনি।

এদিকে রায় প্রদানকালে পর্যবেক্ষণে আদালত বলেছেন, একটি উগ্র ধর্মান্ধ গোষ্ঠী দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করতে এই হত্যাকাণ্ডটি ঘটিয়েছিল।

এর আগে ২০১৫ সালের ১২ মে সিলেট নগরের সুবিদবাজারে নুরানি আবাসিক এলাকায় নিজ বাসার সামনে খুন হন বিজ্ঞান লেখক ও ব্লগার অনন্ত বিজয় দাশ। পেশায় ব্যাংকার অনন্ত বিজ্ঞান নিয়ে লেখালেখির পাশাপাশি ‘যুক্তি’ নামের বিজ্ঞান বিষয়ক একটি পত্রিকা সম্পাদনা করতেন। এছাড়া বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদী কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন তিনি।

হত্যাকাণ্ডের পর অনন্তের বড় ভাই রত্নেশ্বর দাশ বাদী হয়ে সিলেট বিমানবন্দর থানায় অজ্ঞাতনামা চারজনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন। তখন মামলার এজাহারে বলা হয়, বিজ্ঞান বিষয়ে লেখালেখির কারণে অনন্তকে ‘উগ্র ধর্মান্ধ গোষ্ঠী’ পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে।

বাদীপক্ষের আইনজীবী সূত্রে জানা যায়, মামলাটি পুলিশ থেকে অপরাধ তদন্ত বিভাগে (সিআইডি) স্থানান্তরিত হয়।

মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত আসামিদের মধ্যে কানাইঘাটের আবুল হোসেন, খালপাড় তালবাড়ির ফয়সাল আহমদ ও সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের বিরেন্দ্রনগরের (বাগলী) মামুনুর রশীদ পলাতক।

কানাইঘাটের পূর্ব ফালজুর গ্রামের মান্নান ইয়াইয়া ওরফে মান্নান রাহী ওরফে এ বি মান্নান ইয়াইয়া ওরফে ইবনে মঈন কারাগারে মৃত্যুবরণ করেছেন।

এছাড়া সিলেট নগরের রিকাবীবাজার এলাকায় বসবাসকারী সাফিউর রহমান ফারাবী ওরফে ফারাবী সাফিউর রহমান ও কানাইঘাটের ফালজুর গ্রামের আবুল খায়ের রশীদ আহমদ কারাগারে ছিলেন। তবে ফারাবিকে রায়ে খালাশ প্রদান করা হয়েছে। তবে ফারাবি ব্লগার অভিজিৎ রায় হত্যা মামলারও আসামি।

মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবীরা জানান, গত ১৯ সালের ৭ মে সিলেটের অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে এই মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। কিন্তু সাক্ষীদের অনুপস্থিতির কারণে বারবার পেছানো হয় সাক্ষ্যগ্রহণ। দীর্ঘদিন সিলেটের অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ চলার পর গেল বছর মামলাটি সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হয়।

বাংলাদেশ জার্নাল/এসকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত