ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২ মিনিট আগে
শিরোনাম

ব্রহ্মপুত্র নদে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অষ্টমী স্নান, চাঁদাবাজির অভিযোগ

  কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

প্রকাশ : ০৯ এপ্রিল ২০২২, ১৯:১৩

ব্রহ্মপুত্র নদে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অষ্টমী স্নান, চাঁদাবাজির অভিযোগ
ছবি- প্রতিনিধি

কুড়িগ্রামের চিলমারীতে ব্রহ্মপুত্র নদে সনাতন ধর্মাবলম্বী লাখো ভক্তের ঢল নেমেছে। করোনাকালীন সময়ে দুই বছর বন্ধ থাকার পর পাপ মোচন আর পূণ্য অর্জনে এবার পূণ্যার্থীরা দলে দলে আসছেন অষ্টমী স্নান উৎসবে যোগ দিতে। তবে স্নানের জন্য র্নিধারিত ঘাট ও নারী পূণ্যার্থীদের জন্য কাপড় পাল্টানোর কোনো ব্যবস্থা না থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছে তারা। এছাড়া মেলা সংরক্ষণসহ বিভিন্ন কমিটির নামে জোর করে চাঁদা নেয়ার অভিযোগ উঠেছে।

প্রায় ৪শ’ বছর ধরে চৈত্র মাসের শুক্লপক্ষের অষ্টমী তিথিতে ব্রহ্মপুত্র নদে পাপ মোচন ও পূণ্য অর্জনের জন্য সনাতন ধর্মাবলম্বীরা সমবেত হয়। পঞ্জিকা অনুযায়ী শুক্রবার রাত ৯টা ১১ মিনিট ১৬ সেকেন্ড থেকে শনিবার রাত ১১টা ৮ মিনিট ৭ সেকেন্ড পর্যন্ত স্নানের লগ্ন নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে দূর-দূরান্ত থেকে আসা পুণ্যার্থীরা সারা দিনব্যাপী নিজেদের সুবিধামতো সময়ে স্নানকার্য সম্পন্ন করবেন।

অনুষ্ঠানে বিশৃঙ্খলা রোধে পুরো এলাকাজুড়ে মোতায়েন করা হয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের। গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোতে টহল দিচ্ছে র‍্যাব, পুলিশ, আনসার ও ভিডিপি সদস্যরা। তবে মেলা এলাকায় আলোর ব্যবস্থা না থাকায় রাতটা ভোগান্তিতে কেটেছে ভক্তদের। এছাড়াও স্নান উৎসবে বিভিন্ন সংস্কারের নামে জোরপূর্বক চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে।

ঐতিহ্যবাহী স্নান উপলক্ষে চিলমারী ঘাট সংলগ্ন রাজারভিটাতে প্রায় এক কিলোমিটারব্যাপী এলাকায় পূণ্যার্থীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে। ‘হে মহা ভাগ ব্রহ্মপুত্র, হে লৌহিত্য, তুমি আমার পাপ হরণ করো’ মন্ত্র উচ্চারণ করে ব্রহ্মার নিকট কৃপা চেয়ে স্নান উৎসবে মেতে ওঠেন পূণ্যার্থীরা।

বাংলাদেশ বাহ্মণ সংসদ কুড়িগ্রাম জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক সুনীল কুমার চক্রবর্তী জানান, দুই বছর অপেক্ষার পর অধীর আগ্রহ নিয়ে আমরা এখানে পাপ মোচনের জন্য এসেছি। এবার পরিবেশ মোটামুটি ভালো। তবে আলোর ব্যবস্থা না থাকায় অন্ধকারে আমাদের দুশ্চিন্তার মধ্যে রাত কাটাতে হয়েছে। এছাড়াও স্নানপর্ব সেরে নারীদের কাপড় পাল্টানোর জন্য কোনো নিরাপদ জায়গা না থাকায় ভীষণ অস্বস্থির মধ্যে ছিল তারা। আগামীতে মেলা কর্তপক্ষ ও প্রশাসনের বিষয়টি দেখা দরকার।

উলিপুর ব্রাহ্মণ সংসদের সাংগঠনিক সম্পাদক বিপ্লব কুমার মজুমদার জানান, এখানে মেলা সংরক্ষণসহ বিভিন্ন কমিটির নামে বাহ্মণদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করা হচ্ছে। দূর-দূরান্ত থেকে ব্রাহ্মণরা এখানে এসেছেন, তাদের কাছ থেকে জোড় করে চাঁদা নেয়া হচ্ছে। পূণ্য স্থানে এ ধরণের কার্যক্রম মেনে নেয়া যায় না।

উৎসব কমিটির আহ্বায়ক বিঞ্চু চন্দ্র বর্মণ জানান, পরিবেশ অনুকূলে থাকায় দেশ-বিদেশ থেকে প্রায় ৫ লাখ পূণ্যার্থী উৎসবে যোগ দিয়েছেন।

বাংলাদেশ জার্নাল/এসকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত