ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৪১ মিনিট আগে
শিরোনাম

চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজ জট

  চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

প্রকাশ : ০৭ মে ২০২২, ১৯:৫৫  
আপডেট :
 ০৭ মে ২০২২, ১৯:৫৭

চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজ জট
ফাইল ফটো

টানা আটদিন বন্ধ থাকার পর আজ শনিবার খুলেছে বেশিরভাগ শিল্প-কারখানা। এদিকে কারখানা বন্ধ থাকায় আমদানিকারকরা জাহাজ থেকে পণ্য খালাস বন্ধ রেখেছেন। এ কারণে চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে বাড়ছে পণ্যভর্তি কনটেইনারবাহী জাহাজের সংখ্যা। আমদানিকারকরা আন্তরিক হলে আগামী সপ্তাহের মধ্যে এই জট থাকবে না বলে দাবি করছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ।

বন্দর সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রাম বন্দরে বিভিন্ন পোশাক কারখানার আমদানি করা ২০ জাহাজ ভর্তি পণ্যের একটিও খালাস হয়নি আজ। ফলে জাহাজগুলো সারিবদ্ধভাবে বন্দরের বহির্নোঙরে খালাসের অপেক্ষায় আছে।

পোশাক পণ্যের কাঁচামাল ছাড়াও ১০টি জেনারেল কার্গো, ক্লিংকার বোঝাই ২টি, চিনি বোঝাই ২টি ও তেল বোঝাই ৭টি জাহাজ খালাসের অপেক্ষায় আছে। চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে সবমিলিয়ে ৬৮টি পণ্যবোঝাই জাহাজ ছিল। এর মধ্যে ২৭টি জাহাজ খালাস করা হয়েছে। বাকি ৪১টি জাহাজ এখনো খালাসের অপেক্ষায় আছে।

শিপিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালক খায়রুল আলম সুজন বলেন, কারখানা বন্ধ থাকায় প্রতি বছর ঈদের সময় বহির্নোঙরে জাহাজের সংখ্যা বাড়ে। আর জাহাজ আসাও তো বন্ধ রাখা যাবে না। আশা করছি, পণ্য আমদানিকারকরা দ্রুত খালাসের ব্যবস্থা করলে দু'সপ্তাহের মধ্যে স্বাভাবিক পরিস্থিতি তৈরি হবে।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক জানান, কারখানাগুলো বন্ধ থাকায় বন্দরের বহির্নোঙরে জাহাজগুলো অপেক্ষায় আছে। জাহাজের সংখ্যা বাড়লেও এটা খুব সাময়িক। কারখানা খুললেই ব্যবসায়ীরা পণ্য নিয়ে যাবেন।

এদিকে বন্দরের বহির্নোঙরে আমদানিপণ্য বোঝাই ২০টি জাহাজ ছাড়াও লবণ, চিনি, তেল ও সারসহ বিভিন্ন পণ্যভর্তি আরও ২১টি জাহাজ বহির্নোঙর খালাসের অপেক্ষায় আছে। এতে করে বন্দরের বাইরে নোঙর করা জাহাজের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। আমদানিকরাকরা দ্রুত পণ্যের খালাসের ব্যবস্থা না করলে জাহাজজট হবে বলে মনে করছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। তবে আগামীকাল রোববার থেকে পণ্য খালাসের কথা জানিয়েছে আমদানিকরাকরা।

বিজিএমইএর প্রথম সহ-সভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম বলেন, সবে মাত্র আজ পোশাক কারখানাগুলো খুলেছে। কারখানার শ্রমিকরা কাজে যোগ দিচ্ছেন। আগামীকাল থেকেই কারখানা মালিকরা আমদানি করা কাঁচামালগুলো খালাসের ব্যবস্থা করবেন। প্রতিবছরই ঈদের সময় এমন হয়। এটা স্বাভাবিক ব্যাপার। আশা করছি আগামী দু’সপ্তাহের মধ্যে সব জাহাজ খালি হয়ে যাবে।

বাংলাদেশ জার্নাল/এসকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত