ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৩ ঘন্টা আগে
শিরোনাম

লক্ষ্মীপুরে ফসলি ক্ষেতে ঢুকছে জোয়ারের পানি, দুশ্চিন্তায় কৃষক

  লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি

প্রকাশ : ১৬ মে ২০২২, ০৩:৩৩

লক্ষ্মীপুরে ফসলি ক্ষেতে ঢুকছে জোয়ারের পানি, দুশ্চিন্তায় কৃষক
ছবি: প্রতিনিধি

মেঘনা উপকূলীয় এলাকা লক্ষ্মীপুরে নদীর জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে রামগতি ও কমলনগর উপজেলার নিম্নাঞ্চলের ফসলী জমি।

রোববার (১৫ মে) দুপুর ১টার দিকে জোয়ারের অতিরিক্ত পানি উপকূলে ঢুকতে শুরু করে। বিকেলে ৪ টার পর তা নেমে যায়। গত কয়েকদিনের বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে চাষাবাদকৃত ফসল। এতে করে চরম দুশ্চিন্তায় রয়েছে এ অঞ্চলের কৃষকরা।

স্থানীয়রা জানায়, জোয়ারের পানিতে নদী সংলগ্ন ফসলি জমিগুলো নিমজ্জিত হয়ে যায়। এতে সয়াবিন, বোরো ধান এবং রবি শস্যের ক্ষেতে পানি জমে গেছে। ফলে ফসলের ক্ষতির শঙ্কায় রয়েছে কৃষকরা।

স্থানীয়রা জানান, দুপুর ১ টার দিকে শুরু হওয়া জোয়ার শেষ হয় বিকেল ৪ টায়। এতে উপকূলীয় ফসলি জমিগুলো তলিয়ে যায়। নদীর তীরবর্তী বেড়িবাঁধ না থাকায় জোয়ারের পানি খুব সহজেই লোকালয় এবং ফসলি ক্ষেতে ঢুকে পড়েছে।

উপকূলের বাসিন্দারা জানান, মেঘনায় দিনে দুইবার জোয়ার-ভাটা হয়। এর মধ্যে একটি উচ্চ মাত্রায়, আরেকটি নিন্ম মাত্রায়। প্রতি বছরের মে মাস থেকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত সৃষ্ট জোয়ার ব্যাপক ভয়াবহ আকার ধারন করে। এ সময়টাতে ক্ষেতে থাকা ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। তাই কৃষকরা যাতে মে মাসের আগেই ফসল ঘরে তুলতে পারে, কৃষি বিভাগ থেকে সে ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন। আর দ্রুতই বাঁধ নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করার দাবি জানান তিনি।

চর কালকিনি এলাকার কৃষক হানিফ মিয়া বলেন, জোয়ারের পানি তার সয়াবিন ক্ষেতে ঢুকে গেছে। ক্ষেতের সয়াবিন অপরিপক্ক হওয়ায় নষ্ট হয়ে যেতে পারে। ফসল ঘরে তোলার সময় হলে তারা এমন দুর্যোগের মধ্যে পড়েন। তীররক্ষা বাঁধ নির্মাণ কাজ বন্ধ থাকায় তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

কমলনগরের চর কালকিনি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ছয়েফ উল্যাহ বলেন, জোয়ারের পানিতে তার ইউনিয়নের বিভিন্ন অঞ্চল পানির নীচে তলিয়ে গেছে। পানি নেমে গেলেও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হবে।

কমলনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান বলেন, জোয়ারের পানি নদী সংলগ্ন কয়েকটি ফসলি জমিতে ঢুকে পড়ছে। এতে সয়াবিন ও মরিচ ক্ষেতসহ কিছু ফসলের ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ এলাকাগুলো পরিদর্শন করা হবে বলে জানান তিনি।

এদিকে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. জাকির হোসেন বলেন, বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে কি পরিমান ক্ষতি হয়েছে এখনও জানা যায়নি। ৩-৪ দিন অপেক্ষা করে বিষয়টি জানা যাবে । এছাড়া কোন কৃষক ক্ষতিগ্রস্থ হলে তাদের প্রণোদনার ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান তিনি।

বাংলাদেশ জার্নাল/এসএস

  • সর্বশেষ
  • পঠিত