ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৮ মিনিট আগে
শিরোনাম

যেভাবে ধরা পড়লো পুলিশের কব্জি কাটা কবির

  চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

প্রকাশ : ২০ মে ২০২২, ১৫:৫৫

যেভাবে ধরা পড়লো পুলিশের কব্জি কাটা কবির
ছবি: প্রতিনিধি

বনে-জঙ্গলে লুকিয়ে থেকেও শেষ রক্ষা হল না কবির আহমেদের (৪৩)। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে লোহাগাড়ার গহীন পাহাড় থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। এ সময় ১টি দা, ১টি ওয়ান শুটারগান, ৩ রাউন্ড গুলির খোসা, ৩ রাউন্ড তাজা গুলি, ২টি হাসুয়া, ১টি ছুরি, ১৮০ পিস ইয়াবা, ২টি মোবাইল ও ২টি সিমকার্ড উদ্ধার করা হয়।

লোহাগাড়ায় পুলিশ কনস্টেবলকে দা দিয়ে কুপিয়ে হাত থেকে কবজি বিচ্ছিন্ন করার ঘটনার প্রধান আসামি কবির। তিনি লোহাগাড়ার পদুয়া ইউনিয়নের লালারখীল গ্রামের মৃত আলী হোসেনের ছেলে।

শুক্রবার নগরের চান্দগাঁও সিপিসি-৩ ক্যাম্পে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‍্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, গত ১৫ মে সকালে লোহাগাড়া উপজেলার পদুয়া ইউনিয়নের ৯ নম্বর লালারখিল ওয়ার্ডে আসামি ধরতে গিয়ে হামলার শিকার হন জনি খান নামে এক পুলিশ কনস্টেবল। আসামি কবির আহমদ কনস্টেবল জনিকে ধারালো দা দিয়ে কুপিয়ে তার বাম হাত থেকে কবজি বিচ্ছিন্ন করে পালিয়ে যায়।

নিজেকে রক্ষা করতে কবির তার সহযোগীকে নিয়ে পাঁচদিন ধরে বিভিন্ন পাহাড়ে আত্মগোপনে ছিলেন। প্রথমে তিনি বান্দরবানের গহীন পাহাড়ে অবস্থান করলেও সেখানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি আঁচ করতে পেরে তার সহযোগীসহ দ্রুত অবস্থান পরিবর্তন করে পুনরায় লোহাগাড়া থানাধীন বড় হাতিয়ার গহীন পাহাড়ি এলাকায় অবস্থান নেন।

বৃহস্পতিবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত ৩ ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে কবির ও তার সহযোগী কফিলকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় ‘বন্দুকযুদ্ধে’ কবির আহত হয়। এছাড়া র‍্যাবের এক সদস্যও আহত হয়েছেন।

সংবাদ সম্মেলনে র‍্যাব আরও জানায়, গ্রেপ্তারকৃত কবির এলাকার একজন চিহ্নিত অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী ও মাদক কারবারি। তিনি দীর্ঘদিন যাবত এলাকায় জমি দখল, মারামারিসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যক্রম করে আসছিলেন। কেউ তার সন্ত্রাসী কার্যকলাপে বাধা দিলে তার ওপর সশস্ত্র হামলা চালিয়ে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করতেন। তার নামে বিভিন্ন থানায় হত্যাচেষ্টাসহ ৬টি মামলা রয়েছে। তার সহযোগী কফিল একজন চিহ্নিত মাদক কারবারি। বিভিন্ন সময় তিনি চট্টগ্রাম ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকায় মাদক সরবরাহের সিন্ডিকেট পরিচালনা করতেন। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

উল্লেখ্য, গত ১৫ মে সকালে লোহাগাড়ার পদুয়া ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের লালাখিল এলাকায় আসামি ধরতে গিয়ে কনস্টেবল মো. জনির বাম হাতের কব্জি কেটে বিচ্ছিন্ন করে ফেলেন অভিযুক্ত কবির আহমদ। একই দিন জনি খানকে ঢাকার মোহাম্মদপুরের আল-মানার হাসপাতালে দীর্ঘ সাড়ে ৯ ঘণ্টার অস্ত্রোপচারে হাতের কব্জি জোড়া লাগানো হয়।

বাংলাদেশ জার্নাল/এসকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত