ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১২ মিনিট আগে
শিরোনাম

প্রদীপ দম্পতির অবৈধ সম্পদের মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ

  চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

প্রকাশ : ২৩ মে ২০২২, ১৮:৫৩

প্রদীপ দম্পতির অবৈধ সম্পদের মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ

অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি প্রদীপ কুমার দাশ ও তার স্ত্রী চুমকির বিরুদ্ধে দায়ের করা দুর্নীতি মামলায় দুদকের পক্ষে সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। এ নিয়ে ২৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করলো আদালত।

সোমবার দুপুরে চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ মুন্সী আবদুল মজিদের আদালতে দুদকের পক্ষে সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের আইনজীবী মাহমুদুল হক।

তিনি জানান, আজ প্রদীপ ও তার স্ত্রী চুমকির বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় সাক্ষ্যের দিন ধার্য ছিলো। সে অনুযায়ী সর্বশেষ সাক্ষী ছিলেন এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. রিয়াজ উদ্দিন। এখন পর্যন্ত ২৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে। নতুন করে আর কোনো সাক্ষ্যগ্রহণ করা হবে না। ২৯ মে আসামি পক্ষ থেকে মো. রিয়াজ উদ্দিনকে জেরা করা হবে।

এর আগে এদিন বেলা ১২টায় প্রদীপের স্ত্রী চুমকি কারন চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ মুন্সী আবদুল মজিদের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক মুন্সী আব্দুল মজিদের আদালত দুর্নীতি মামলার চার্জ গঠনের মাধ্যমে প্রদীপ এবং তার স্ত্রী চুমকির বিরুদ্ধে বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছিলেন।

গত বছরের ২৬ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদক চট্টগ্রামের সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দিন। প্রদীপ গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে থাকলেও পলাতক রয়েছেন তার স্ত্রী চুমকি।

মামলার সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের ২৩ আগস্ট দুদক চট্টগ্রাম সমন্বিত কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দিন বাদী হয়ে প্রদীপ ও তার স্ত্রী চুমকির বিরুদ্ধে মামলা করেন। গত বছরে ২৬ জুলাই দুর্নীতির মাধ্যমে সম্পত্তি অর্জনের মামলায় প্রদীপ ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় দুদক। একই বছরের ১৫ ডিসেম্বর আদালতে অভিযোগ গঠন হয়।

প্রদীপ ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দেয়া অভিযোগপত্রে অবৈধ আয়ে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি অর্জনের অভিযোগ আনা হয়। এর মধ্যে চট্টগ্রাম নগরীর পাথরঘাটায় ছয়তলা বাড়ি ও পাঁচলাইশ থানার ষোলশহরের একটি বাড়ি, একটি ব্যক্তিগত গাড়ি, একটি মাইক্রোবাস, ৪৫ ভরি সোনা, কক্সবাজারে চুমকির নামে একটি ফ্ল্যাট।

বৈধ-অবৈধ মিলিয়ে প্রদীপ দম্পতির ৪ কোটি ৮০ লাখ ৬৪ হাজার ৬৫১ টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের হদিস মেলে দুদকের অনুসন্ধানে। যার মধ্যে বৈধ আয় থেকে ২ কোটি ৪৪ লাখ ৬৬ হাজার ২৩৪ টাকার সম্পদ পায় দুদক। বাকি ২ কোটি ৩৫ লাখ ৯৮ হাজার ৪১৭ টাকার অবৈধ সম্পদ বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়। চুমকি নিজেকে মৎস্য ব্যবসায়ী বলে আয়কর নথিতে উল্লেখ করলেও তার সমর্থনে প্রমাণ দিতে পারেননি।

২০২০ সালের ৩১ জুলাই টেকনাফের বাহারছড়ায় পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান। এ ঘটনায় একই বছরের ৬ আগস্ট থেকে কারাগারে আছেন প্রদীপ। সিনহা হত্যা মামলায় প্রদীপকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

আত্মসমর্পণ করলেন সাবেক ওসি প্রদীপের স্ত্রী চুমকি

বাংলাদেশ জার্নাল/আরকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত