ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৮ মিনিট আগে
শিরোনাম

নিলামে বিক্রি চট্টগ্রাম বন্দরে থাকা ৬০৯ ড্রাম হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড

  চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

প্রকাশ : ০৬ জুন ২০২২, ২১:১৯

নিলামে বিক্রি চট্টগ্রাম বন্দরে থাকা ৬০৯ ড্রাম হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড

সীতাকুণ্ডে নজিরবিহীন বিস্ফোরণের ঘটনার পর চট্টগ্রাম বন্দরে পড়ে থাকা ৬০৯ ড্রাম হাইড্রোজেন পার–অক্সাইড দ্রুত নিলামে বিক্রি করেছে চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।

সোমবার বিকেল ৪টায় এসব রাসায়নিক বিক্রির জন্য প্রকাশ্য নিলামে তোলা হয়। এসময় সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে মেসার্স এয়াকুব ট্রেডার্স নামের একটি প্রতিষ্ঠান ৫ লাখ ২০ হাজার টাকায় এসব রাসায়নিক কিনে নেয়।

এ বিষয়ে কাস্টমসের উপ-কমিশনার আলী রেজা হায়দার বলেন, হাইড্রোজেন পার–অক্সাইড টেক্সটাইল, ডাইংসহ নানা শিল্পে ব্যবহার করা হয়। নিলামে তোলার অপেক্ষায় থাকা এই চালান ছাড়া বন্দরে হাইড্রোজেন পার–অক্সাইডের নিলামযোগ্য কোনো কনটেইনার নেই।

হাইড্রোজনের পার অক্সাইড একটি রাসায়নিক যৌগ যার সংকেত H2O2। বিশুদ্ধ অবস্থায় এটা বর্ণহীন তরল। বিশেষজ্ঞরা হাইড্রোজেন পার অক্সাইডকে বর্ণনা করেন অক্সিডাইজিং এজেন্ট হিসেবে। সাধারণভাবে একে বলা যায় ব্লিচিং এজেন্ট। সরাসরি হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড ব্যবহার বিপজ্জনক। তাই নিরাপত্তাজনিত কারণে সবসময় এর জলীয় দ্রবণ পরিমিত পরিমাণে ব্যবহার করা হয়। এটি নিজে দাহ্য পদার্থ না হলেও আগুন বা দাহ্য পদার্থের আশেপাশে রাখলে বিপজ্জনক পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

কাস্টমসের তথ্য অনুযায়ী, গাজীপুরের কেয়া নিট কম্পোজিট লিমিটেড নামের একটি পোশাক কারখানা চার বছর আগে তুরস্ক থেকে হাইড্রোজেন পার–অক্সাইডের চালানটি আনে। আমদানির পর প্রতিষ্ঠানটি সেগুলো খালাস করেনি। এরপর থেকে দুই কনটেইনারের চালানটি বন্দরের চত্বরে পড়ে আছে। চালানটিতে ৩০ হাজার ৪৫০ কেজি হাইড্রোজেন পার–অক্সাইড রয়েছে। এই চালানের সংরক্ষিত দাম ধরা হয় ২৩ লাখ ৮০ হাজার টাকা। সীতাকুণ্ড বিএম কনটেইনার ডিপো দুর্ঘটনার পর বন্দর কর্তৃপক্ষ বিপজ্জনক এ পণ্য নিলামে তোলার জন্য গতকাল (রোববার) কাস্টমস কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেয়। চিঠি পাওয়ার পর কাস্টমস কর্তৃপক্ষ তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্তে সেগুলো নিলামে তুলে বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয়।

উল্লেখ্য, শনিবার রাতে সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ি ইউনিয়নে কদম রসুল এলাকায় বিএম ডিপোতে ভয়াবহ আগুনের পর বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে ৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং শতাধিক দগ্ধ হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ অগ্নিকাণ্ড ও বিস্ফোরণের ঘটনায় মরদেহের পরিচয় শনাক্ত করতে ডিএনএ পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করতে কাজ শুরু করেছে অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

সোমবার সকাল ৮টায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ইমারজেন্সি কেয়ারের সামনে নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ জার্নাল/আরকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত