ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৫৯ মিনিট আগে
শিরোনাম

ফের বাড়ছে করোনা সংক্রমণ, নিয়ন্ত্রণে ৬ সুপারিশ

  জার্নাল ডেস্ক

প্রকাশ : ১৫ জুন ২০২২, ২৩:১৬

ফের বাড়ছে করোনা সংক্রমণ, নিয়ন্ত্রণে ৬ সুপারিশ
ফাইল ছবি

দেশে ফের করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় ছয় দফা সুপারিশ করেছে করোনা সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি।

কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লার সই করা এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বুধবার রাতে এসব তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে প্রকাশিত সুপারিশগুলো হলো:

১. স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য জনসাধারণকে পুনরায় উদ্বুদ্ধ করতে সব প্রকার গণমাধ্যমে অনুরোধ জানাতে হবে। সব ক্ষেত্রে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা, ‘নো মাস্ক নো সার্ভিস’ নীতি প্রয়োগ করা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, জনসমাগম বর্জন করা প্রয়োজন। ধর্মীয় প্রার্থনার মান (যেমন- মসজিদ, মন্দির, গির্জা ইত্যাদি) গুলিতে মাস্ক পরা ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা দরকার।

২. যাদের জ্বর, সর্দি, কাশি হচ্ছে তারাও অনেকে করোনা টেস্ট করেছেন না। এতে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেয়া যাচ্ছে না এবং এ কারণে সংক্রমণ বাড়ছে। এ জন্য যাদের উপসর্গ দেখা দিচ্ছে এবং যারা করোনায় আক্রান্ত মানুষের সংস্পর্শে আসছেন তাদের টেস্ট করার জন্য অনুরোধ করতে হবে।

৩. যে সব দেশে কোভিড-১৯ জীবাণুর (variant & sub-variant) সংক্রমণের হার বেশি সে সব দেশ থেকে দেশে আগত আক্রান্ত মানুষের মাধ্যমে প্রবেশ করছে বলে মনে করা হয়। এ জন্য বিমানবন্দর ও নৌ-বন্দরসমূহে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রয়োজনে করোনা নেগেটিভ সনদ, টাকা সনদ আবশ্যক করতে হবে। বিশেষত অধিক আক্রান্ত দেশগুলো থেকে আগত যাত্রীদের জন্য। সন্দেহজনক ব্যক্তিদের র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট করার ব্যবস্থা করতে হবে। সংক্রমণ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আক্রান্ত ব্যক্তিদের কোয়ারেন্টাইনের ব্যবস্থা করা প্রয়োজন।

৪. করোনা ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ও তৃতীয় ডোজ যারা এখনও নিতে পারেননি তাদের এটা নেয়ার ব্যাপারে আগ্রহী করতে হবে ৫ থেকে ১৯ বছরের শিশুদের ভ্যাকসিন দেয়ার ব্যাপারে NITAG-এর পরামর্শ অনুসরণ করা দরকার। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা চতুর্থ ডোজ অনুমোদন করলে তা বিবেচনা করতে হবে। করোনার ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত করার জন্য সম্ভাব্যতা বিবেচনা করা দরকার। ভ্যাকসিন পরবর্তী প্রতিরোধ ক্ষমতা কতদিন বজায় থাকছে যে সম্বন্ধে গবেষণা করা প্রয়োজন।

৫. এছাড়া করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য যে বিশেষ রোগীদের চিকিৎসার জন্য যথাযথভাবে প্রস্তুত রাখা শয্যা, আইসিইউ ব্যবস্থা ও জনবল ছিলো, তা বর্ধিত হারে আক্রান্ত প্রয়োজন।

৬. সিদ্ধান্তসমূহ বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজন হলে আন্তন্ত্রণালয় সভা করা যেতে পারে।

গত কয়েকদিনে দেশে করোনা সংক্রমণ আবার ঊর্ধ্বমুখী। স্বাস্থ্য অধিদফতরের সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২৩২ জন। তবে আশার কথা, করোনায় আক্রান্ত হয়ে টানা ১৬ দিন কারো মৃত্যু হয়নি দেশে। ফলে মোট মৃতের সংখ্যা ২৯ হাজার ১৩১ জনে অপরিবর্তিত আছে। বুধবার স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে পাঠানো করোনা বিষয়ক নিয়মিত বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়।

করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি নিয়ে সতর্ক করলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী

করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি নিয়ে সতর্ক করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর মহাখালীর আইসিডিডিআরবি অডিটোরিয়ামে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, আমরা যেভাবে অসতর্ক হয়ে চলাচল করছি, হাসপাতালে রোগী বাড়তে সময় লাগবে না।

মন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণ আমরা নিয়ন্ত্রণে নিয়ে এসেছিলাম, কিন্তু দেশে এখন আবার করোনা বাড়ছে। গত এক মাস দেশে সংক্রমণের হার ছিল দশমিক ৬ শতাংশ, এখন সেটা ২ শতাংশে উঠে গেছে। প্রতিদিন যেখানে দৈনিক ৩০ থেকে ৩৫ জন রোগীর করোনা শনাক্ত হতো, এখন তা ১৫০ ছাড়িয়ে গেছে। আমরা আশঙ্কা করছি, আমাদের যদি এ মুহূর্তে পরীক্ষা বাড়ে, তাহলে সংক্রমণের সংখ্যাও আরও বেড়ে যাবে।

জাহিদ মালেক বলেন, আমাদের জন্য একটা ভালো বিষয় হলো আমাদের কোনো হাসপাতালে এখন ২০ জনের বেশি রোগী নেই। কিন্তু আমরা যেভাবে অসতর্ক হয়ে চলাচল করছি, হাসপাতালে রোগী বাড়তেও সময় লাগবে না। তাই আমাদের স্বাস্থ্যবিধি নিয়ে আরও সতর্ক হতে হবে। আপনারা সবাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাজ করবেন, এটি আমরা আশা করব।

বাংলাদেশ জার্নাল/কেএ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত