ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৩ মিনিট আগে
শিরোনাম

সহ-সভাপতির পিটুনিতে সাধারণ সম্পাদকের মাথায় সাত সেলাই

  পাবনা প্রতিনিধি

প্রকাশ : ২৬ জুন ২০২২, ২১:১২

সহ-সভাপতির পিটুনিতে সাধারণ সম্পাদকের মাথায় সাত সেলাই
মারধরের শিকার আওয়ামী লীগ নেতা

পাবনার ফরিদপুর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের উপজেলা কমিটির সহ-সভাপতি নুরুল ইসলাম কুদ্দুস বেধড়ক মারধোর করেছেন নিজ কমিটির সাধারণ সম্পাদক আলী আশরাফুল কবীরকে। এতে আলী আশরাফুল কবীরের মাথায় সাতটি সেলাই দিতে হয়েছে। তিনি এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

শনিবার দিবাগত রাতে পদ্মাসেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে উপজেলায় আয়োজিত অনুষ্ঠানস্থলের পাশে এ ঘটনা ঘটে।

আহত আলী আশরাফ জানান, পদ্মাসেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে রাতে ফরিদপুর পৌর সদরের মুক্তমে অনুষ্ঠান চলছিল। অনুষ্ঠানস্থলের পাশের একটি চা দোকানে আশরাফুল কবীর অবস্থান করছিলেন। এ সময় উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম কুদ্দুস সেখানে যান। তার সাথে ছিলেন ছেলে রাতুল ও মনছুরসহ তার কয়েক অনুসারি। আশরাফুল কবীর এ সময় নুরুল ইসলাম কুদ্দুসকে জিজ্ঞেস করেন পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে কেন আসলেন না? এতে নুরুল ইসলাম কুদ্দুস রেগে যান এবং অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেন। এ সময় নুরুল ইসলাম কুদ্দুসের সাথে হাফ প্যান্ট পড়া একজন ব্যক্তি ছিলেন। অনুষ্ঠানস্থলের পাশে এ পোষাকে ঘোরাফেরা অশোভন বলে মন্তব্য করেন আশরাফুল কবীর। এ কথা বলার পরই উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানের লোকজন তাকে মারধোর শুরু করেন বলে জানান আশরাফুল কবীর।

এতে তিনি মাথায় আঘাত পান। এরপর পুলিশসহ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খলিলুর রহমান এবং অনুষ্ঠানের সঞ্চালক উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক হাফিজ সরকার দলীয় নেতা-কর্মীদের সাথে নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে আসেন। হাফিজ সরকার অনুষ্ঠান সঞ্চালনা বাদ রেখে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

আশরাফুল কবীরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, শারীরিক অবস্থা ভালো নয়। চিকিৎসকদের পরামর্শে তিনি রোববার বেলা সাড়ে ৩টায় পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। হত্যার জন্য এ হামলা চালানো হয়েছে বলে দাবি তার।

আশরাফুল কবীর বলেন, সহ-সভাপতি নুরুল ইসলাম কুদ্দুস কয়েকবার উপজেলা আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি হতে চেয়েছেন, কিন্তু জনসমর্থন পাননি। তার দ্বারা অনেক নেতাকর্মী এর আগেও লাঞ্ছিত হয়েছেন। তিনি দু’বার দল থেকে বহিষ্কারও হেয়ছেন। নুরুল ইসলাম কুদ্দুস আমাকে পথের কাঁটা ও প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করেন।

তিনি জানান, নুরুল ইসলাম কুদ্দুসের বিরুদ্ধে একাধিক মামলাও রয়েছে। তিনি নায্য বিচার দাবি করেন।

উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নুরুল ইসলাম কুদ্দুস বলেন, অনুষ্ঠানস্থলের পাশে একটি দোকানে চা পান করছিলাম। একটা বিষয় নিয়ে আশরাফুল কবীরের সঙ্গে আমার কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে তিনি আমার কলার চেপে ধরেন। তখন আমার লোকজন তাকে কিল-ঘুষি মারলে মাটিতে পড়ে গিয়ে তার মাথা কেটে যায়।

ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে ফরিদপুর থানার ওসি মিজানুর রহমান শনিবার বিকেলে বলেন, অনুষ্ঠানস্থলে পুলিশ ছিল। হামলার ঘটনার পরপরই সেখানে থাকা একজন উপ-পরিদর্শক ও পুলিশ সদস্যরা দ্রুত বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করেছিল। এ ব্যাপারে থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

বাংলাদেশ জার্নাল/এসকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত