ঢাকা, বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৪ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : কিছুক্ষণ আগে
শিরোনাম

প্রেমঘটিত কারণে খুন হয় ইমন, দুই বন্ধু গ্রেপ্তার

  গাজীপুর প্রতিনিধি

প্রকাশ : ২৭ জুলাই ২০২২, ২০:১২

প্রেমঘটিত কারণে খুন হয় ইমন, দুই বন্ধু গ্রেপ্তার
ছবি: প্রতিনিধি

প্রেমঘটিত কারণে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার রসুলপুর এলাকার আজিবুর রহমানের ছেলে ইমন রহমান (২১) হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে তার দুই বন্ধুকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। বুধবার ভোর রাতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলো, গাজীপুরের সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে রাশেদুল ইসলাম ওরফে রাসু (২৫) ও একই এলাকার রতন চন্দ্র বর্মনের ছেলে বিপুল চন্দ্র বর্মন (১৯)। টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার থানাধীন আবাদপুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে করে ইমন হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনাকারী রাসুকে এবং গাজীপুরের কালিয়াকৈর থানাধীন কালামপুর এলাকা হতে বিপুলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

র‍্যাব-১ এর সহকারী পরিচালক নোমান আহমদ জানান, রাসু এবং বিপুল চন্দ্র বর্মন ও রাসু জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করে, একসময় ইমন ও তারা সকলে একই স্কুলে মাধ্যমিক পর্যায়ে পড়াশুনা করতেন এবং বিগত ৫-৭ বছর ধরে তারা পরস্পরের সঙ্গে পরিচিত। এছাড়াও আসামিরা গত ২-৩ বছর আগে থেকে একইসাথে মাদক ক্রয় এবং সেবনের সাথে জড়িত। তারা বন্ধু হলেও ইমনের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আগে থেকে বিরোধ চলে আসছিল।

সম্প্রতি প্রেমঘটিত বিষয় নিয়ে ইমনের সাথে আটককৃত রাশেদুল ইসলামের মধ্যে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। এ দ্বন্দ্ব চূড়ান্ত পর্যায়ে চলে গেলে রাশেদুল ইসলাম তার অপর ৪ জন সহযোগী ভিকটিম ইমনকে হত্যা করার পরিকল্পনা করে। এ পরিকল্পনা অনুযায়ী রাশেদুল ইসলামের মোবাইল ফোনের মাধ্যমে গত ৭ জুলাই আনুমানিক ১০টার দিকে ইমনকে গাজীপুরে তার বাড়ির পশ্চিম পাশের বটগাছতলায় আসতে বলে। সেখানে রাসু, বিপুলসহ কয়েকজন আগে থেকেই দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ওঁৎ পেতে থাকে।

ফোন পেয়ে ইমন রাতের খাবার খেয়ে মায়ের কাছ থেকে ২শ’ টাকা নিয়ে কাউকে কিছু না বলে সাড়ে ১০টার দিকে তাদের বাড়ির পাশের বটগাছ তলায় যায়। বটগাছ তলায় পৌঁছামাত্রই রাসু তার প্রেমিকাকে গালিগালাজ করার কারণ জিজ্ঞাসা করে ইমনকে। এ নিয়ে বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে রাত আনুমানিক সাড়ে ১০টার দিকে রাশেদুল ইসলামের সাথে থাকা দা দিয়ে ইমনকে এলোপাতাড়িভাবে কুপিয়ে হত্যা করে। পরে ইমনের লাশ যাতে কেউ খুঁজে না পায় সে উদ্দেশ্যে তুরাগ নদীতে ফেলে দেয়।

সম্ভাব্য সকল স্থানে খোঁজে ইমনের সন্ধান না পেয়ে ১১ জুলাই তার পরিবারের পক্ষ থেকে কালিয়াকৈর থানায় জিডি করা হয়। পরে ১৬ জুলাই ঢাকার সাভারস্থ আমিনবাজারের কেবলার চর এলাকা সংলগ্ন তুরাগ নদী থেকে ভাসমান অবস্থায় ইমনের লাশ উদ্ধার করে নৌ-পুলিশ। খবর পেয়ে তার স্বজনরা লাশ শনাক্ত করেন।

র‍্যাব কর্মকর্তা নোমান আহমদ আরও জানান, অভিযানকালে রাশেদুল ইসলামের নিজ বাড়ির একটি কক্ষের বিছানার নিচ থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি দা ও বিপুল চন্দ্র বর্মনের কাছ থেকে একটি মোবাইলফোন উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে র‍্যাবের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা ইমনকে হত্যার কথা স্বীকার করে এবং এই হত্যার লোমহর্ষক বর্ণনা দেয়। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা এবং তাদের কালিয়াকৈর থানা পুলিশে হস্তান্তর প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

বাংলাদেশ জার্নাল/এসকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত