ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২২ মিনিট আগে
শিরোনাম

ওসমানী মেডিকেলের আন্দোলন স্থগিত

  সিলেট প্রতিনিধি

প্রকাশ : ০৪ আগস্ট ২০২২, ১৪:২৩  
আপডেট :
 ০৪ আগস্ট ২০২২, ১৬:৪০

ওসমানী মেডিকেলের আন্দোলন স্থগিত
ছবি: সংগৃহীত

বহিরাগত কর্তৃক দুই শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনায় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিক্ষার্থী ও ইন্টার্ন চিকিৎসকদের চলমান আন্দোলন আগামী এক সপ্তাহের জন্য স্থগিত করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সেমিনার রুমে অনুষ্ঠিত সভা শেষে আন্দোলন প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মুন্তাকিম চৌধুরী বলেন, হামলার ঘটনার প্রধান আসামি দিব্যকে পুলিশ রাতে গ্রেপ্তার করেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে আজ আমাদের সঙ্গে বৈঠক হয়। এ সময় ভিসি, পরিচালকসহ সকলেই কর্মসূচি প্রত্যাহার করার দাবি জানালে আমরা চলমান আন্দোলন স্থগিত করি।

তিনি আরও বলেন, মামলার প্রধান আসামি গ্রেপ্তার হলেও আরও কিছু আসামি গ্রেপ্তার না হওয়ায় আগামী এক সপ্তাহ সময় বেধে দিয়ে চলমান আন্দোলন স্থগিত করা হয়েছে।

এ সময় বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন- স্বাস্থ্য শিক্ষার ডিজি অধ্যাপক ডা. এ এইচ এম এনায়েত হোসেন, ভিসি সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক, ওসমানী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ, সিলেট বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য), মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক, ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের সাধারণ সম্পাদকসহ অন‍্যান‍্য প্রতিনিধি।

উল্লেখ্য, রোববার (৩১ জুলাই) রাতে এক নারী ইন্টার্ন চিকিৎসকের সঙ্গে রোগীর স্বজনদের ঝগড়া দিয়ে ঘটনার সূত্রপাত। পুলিশ ও কলেজের শিক্ষার্থীরা জানান, ওই রাতে হাসপাতালে ভর্তি এক রোগীর স্বজনরা দায়িত্বে থাকা এক নারী ইন্টার্ন চিকিৎসকের সঙ্গে ‘দুর্ব্যবহার’ করেন। পরে তাদের পুলিশের হাতে তুলে দেয়া হয়।

এ ঘটনার জেরে সোমবার (১ আগস্ট) রাত সাড়ে ৯টার দিকে কলেজ ক্যাম্পাসে ঢুকে কয়েকজন শিক্ষার্থীকে মারধর করে একদল ‘বহিরাগত’। তাদের পিটুনিতে আহত হন তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী রুদ্র নাথ এবং শেষ বর্ষের নাইমুর রহমান ইমন।

এর প্রতিবাদে এবং জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মেডিকেলের সামনে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করে শিক্ষার্থীরা। তাদের সঙ্গে আন্দোলনে যোগ দিয়ে মঙ্গলবার থেকে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা হাসপাতালের জরুরি বিভাগ ছাড়া বিভিন্ন ওয়ার্ডে সেবা বন্ধ করে দেন। ফলে ব্যাহত হয় হাসপাতালের চিকিৎসাসেবা।

বাংলাদেশ জার্নাল/রাজু

  • সর্বশেষ
  • পঠিত