ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১১ মিনিট আগে
শিরোনাম

জ্বালানী তেলের মূল্য বৃদ্ধির খবরে গোপালগঞ্জের ফিলিং স্টেশ‌নগুলো বন্ধ

  গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশ : ০৬ আগস্ট ২০২২, ১০:০২

জ্বালানী তেলের মূল্য বৃদ্ধির খবরে গোপালগঞ্জের ফিলিং স্টেশ‌নগুলো বন্ধ

হঠাৎ করে জ্বালানী তেলের মূল্য বৃদ্ধির ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে গোপালগঞ্জে ফিলিং স্টেশ‌নগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এতে তেল নিতে আসা মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন যানবাহনের ব্যাপক চাপ সৃষ্টি হয়। এসময় অধিক মুনাফার আশায় মুহূর্তেই তেল শূণ্য ঘোষণা করে ফিলিং স্টেশনগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন যানবাহন মালিকরা।

শুক্রবার রাতে শহরের বিভিন্ন ফিলিং স্টেশনগুলো ঘুরে দেখা গেছে, রাত ১২ থেকে নতুন দাম কার্যকর হবার কথা থাকলেও দাম বৃদ্ধির ঘোষণার সাথে সাথে তেল কেনার জন্য ফিলিং স্টেশনগুলো ভীড় করতে থাকে বিভিন্ন যানবাহনের মালিকেরা। তেল না থাকায় অনেককেই পায়ে হেটে যানবাহন ঠেলে ফিলিং স্টেশনে আসতে দেখা গেছে।

কিন্তু ফিলিং স্টেশনগুলোর মালিকরা বন্ধ করে চলে যায়। এসময় ফিলিং স্টেশনগুলোর সকল বাতি বন্ধ করে দেয়ায় অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে পরে। এমনকি কয়েকটি পাম্পে তেল নেই এমন সাইনবোর্ডও ঝুলিয়ে দেয়া হয়। ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকে এবং ফিলিং স্টেশনগুলোর মালিক ও কর্মচারীদের ডেকেও তেল পায়নি তারা। এতে ক্ষোভ ও উত্তেজনা সৃষ্টি হয় যানবাহন মালিকদের মধ্যে।

জেলা শহরের বাসিন্দা নাহিদ বনি বলেন, আমি ঠিকাদারি কাজ করি। এজন্য সব সময় আমাকে মোটরসাইকেল চালাতে হয়। যে কারণে আমার পেট্রোল বা অকটেন প্রয়োজন হয়। কিন্তু তেল নিতে পাম্পে এসে দেখি দাম বাড়ার কারণে সময়ের আগেই পাম্প মালিকরা তেল বিক্রি না করে পাম্প বন্ধ করে দিয়েছে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকেও তেল পাইনি।

সুব্রত বিশ্বাস বলেন, আমাকে বিভিন্ন কাজের জন্য মোটরসাইকেল চালাতে হয়। দাম বাড়বে এমন খবরে রাত ১০টার দিকে তেল নিতে এসেছিলাম। কিন্তু রাত ১২ বাজার আগে পাম্প বন্ধ করে দিয়ে চলে গেছে পাম্পের মালিক ও কর্মচারীরা। যে কারণে আমি তেল পাইনি।

জাবেরুল ইসলাম বলেন, রাতে গাড়ীতে তেল নিয়ে পাম্পে যাই। গিয়ে দেখি পাম্প বন্ধ। ভিতরে আলো জ্বালানো থাকায় ডাকাডাকি করি। প্রথমে তারা উত্তর না দিলেও পরে কর্মচারীরা জানায় পাম্প বন্ধ তেল বিক্রি হবে না। অনেক অনুরোধ করার পরেও তারা তেল বিক্রি করেনি। ফলে মোটরসাইকেল ঠেলে নিয়ে বাড়ীতে যেতে হয়েছে।

তবে, ফিলিং স্টেশনগুলো বন্ধ থাকায় মালিক, ম্যানেজার বা কর্মচারীদের বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

প্রসঙ্গত, জ্বালানি তেলের নতুন দাম ডিজেল ও কেরোসিন ১১৪ টাকা, পেট্রোল ১৩০ টাকা ও অকটেন ১৩৫ টাকা নির্ধারণ করেছে সরকার। শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টা থেকে কার্যকর হবার কথা থাকলেও রাত ১০টা থেকে ফিলিং স্টেশনগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়।

বাংলাদেশ জার্নাল/কেএ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত