১৩৯৬ কোটি টাকা পাচারের মূলহোতা শহিদুল গ্রেপ্তার
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৪ আগস্ট ২০২২, ১৫:২০
২৯টি মানিলন্ডারিং মামলার এজাহারভুক্ত আসামি ১৩৯৬ কোটি ১৪ লাখ টাকা পাচারের মূলহোতা শহীদুল আলম গ্রেপ্তার হয়েছেন। শনিবার রাতে ইতালি যাওয়ার উদ্দেশ্যে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গেলে ইমিগ্রেশন পুলিশের সহযোগীতায় আটক তাকে করে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর। পরে তাকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের রাজস্ব কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম জানান, গ্রেপ্তার শহিদুল ভুয়া নাম-ঠিকানা ও দলিলাদি ব্যবহার করে ট্রেড লাইসেন্স, আয়কর সনদ, ভ্যাট রেজিস্ট্রেশন, আমদানি সনদ, ব্যাংক হিসাব ও এলসি খুলে মেশিনারি ঘোষণায় উচ্চ শুল্কের মদ, সিগারেট, এলইডি টিভি, গুড়োদুধ ও ফটোকপির মেশিনসহ নানা পণ্য আমদানির মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ শুল্ক ফাঁকি দিয়েছেন এবং বিপুল অঙ্কের অর্থ পাচার করেছেন।
শপিকুল ইসলাম জানান, গ্রেপ্তার শহীদুল ইসলাম তার সহযোগীদের সহায়তায় মেসার্স এগ্রোবিডি এন্ড জেপি, হেনান আনহুই এগ্রো এলসি, হেব্রা ব্রান্কো এবং চায়না বিডিএল নামক চারটি অস্তিত্বহীন প্রতিষ্ঠান খুলে ক্যাপিটাল মেশিনারি আমদানির ঘোষণা দিয়ে মদ, সিগারেট, এলইডি টিভি, গুড়োদুধ ও ফটোকপির মেশিনসহ নানা পণ্য আমদানি করে শুল্ক কর ফাঁকি দিয়ে ১৩৯৬ কোটি ১৪ লাখ টাকা মানিলন্ডারিং করেছেন। এই ঘটনায় শুল্ক গোয়েন্দার পক্ষ থেকে ২০১৯ সালের ৭ নভেম্বর ৪৩১ কোটি ৭৫ লাখ টাকা মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগে মেসার্স এগ্রোবিডি এন্ড জেপির বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। একইদিন ৪৩৯ কোটি ১১লাখ টাকা মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগে হেনান আনহুই এগ্রো এলসির বিরুদ্ধে মামলা হয়।
এছাড়া ২০১৯ সালের ১২নভেম্বর ২৯০ কোটি ৮৯ লাখ টাকা মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগে হেব্রা ব্রান্কোর নামে আরও মামলা করে শুল্ক গোয়েন্দা কর্তৃপক্ষ। এরপর ২০২০ সালের ১৯ নভেম্বর শহীদুলের অপর প্রতিষ্ঠান চায়না বিডিএলের বিরুদ্ধে ২৩৪ কোটি ৩৯ লাখ মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগে মামলা করে শুল্ক গোয়েন্দা। সবগুলো মামলাই পল্টন থানায় দায়ের করা হয়।
বাংলাদেশ জার্নাল/সুজন/রাজু