স্কুল ছাত্রীকে মারধর, জোর করে বিয়ে: ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা
গাজীপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৫ আগস্ট ২০২২, ১০:৩৮
মিথ্যা অপবাদ দিয়ে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার শিমুলিয়া এলাকার এক ছাত্রীকে (১৪) মারধর ও বিয়ে দেয়ার অভিযোগে এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
রোববার বিকেলে ছাত্রীর মা বাদী হয়ে কালিয়াকৈর থানায় মামলাটি দায়ের করেন। কালিয়াকৈর থানার ওসি মো. আকবর আলী খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অভিযুক্ত জাহাঙ্গীর আলম, গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার ফুলবাড়ীয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য। ইতোপূর্বে ছাত্রীকে মারধরের ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।
শনিবার বিভিন্ন গণমাধ্যম এ নিয়ে প্রতিবেদন করেছে। ছাত্রীটি স্থানীয় একটি উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর শিক্ষার্থী।
মামলার বিবরণ এবং ওসির ভাষ্যমতে, ২৬ মে ওই নারী শিশুর বাড়িতে তাদের এক তরুণ আত্মীয় বেড়াতে গেলে তাকে জড়িয়ে আপত্তিকর সম্পর্কের অভিযোগ তোলা হয়। ওই অভিযোগে ইউপি সদস্য সেদিন সন্ধ্যায় ওই ছাত্রীকে চুলের মুঠি চেপে চড়, থাপ্পর ও লাঠি পেটা করে। পরে ওই তরুণের সাথে জোরপূর্বক বিয়েতে বাধ্য করে। ঘটনার সময় ওই বাড়িতে ছাত্রীর দাদা বাড়িতে ছিলেন। তার দাদার উপস্থিতেই নারী শিশুকে মারধর করে শ্লীলতাহানি ঘটায়।
পরে তরুণের সাথে ওই ছাত্রীর বিয়ে দেয়। এক পর্যায়ে অভিযুক্ত তাদের ঘর থেকে ১০ হাজার টাকা নিয়ে যায়। এ ঘটনাটি নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে অভিযুক্ত ছাত্রীর পরিবারকে খুন—জখমসহ সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার হুমকি দিয়ে চলে যায়।
এদিকে, বিয়ের দু’দিন পর থেকে ওই তরুণ তাদের বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফেরেনি। অভিযুক্ত ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর আলমকে গ্রেপ্তারের তৎপরতা চলছে বলে জানান ওসি।
বাংলাদেশ জার্নাল/এএইচ/ওএফ