ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৩২ মিনিট আগে
শিরোনাম

১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র উন্মোচনের আহ্বান সিপিবির

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ১৬ আগস্ট ২০২২, ০৯:৫৬

১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র উন্মোচনের আহ্বান সিপিবির

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবার বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র উন্মোচন করার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাবেক সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম। বঙ্গবন্ধু স্মরণে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ আহ্বান জানান। এ সময় বঙ্গবন্ধু হত্যার ষড়যন্ত্র উন্মোচনে ট্রুথ কমিশন গঠনেরও আহ্বান জানান তিনি।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৪৭তম শাহাদাত বার্ষিকীতে রাজধানীর মুক্তি ভবনের মৈত্রী মিলনায়তনে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

এসময় সভাপতির বক্তব্যে কমরেড মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, ‘৭৫-এর ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে সূচিত প্রগতিশীল ধারাকে উল্টে দিয়ে দেশকে পাকিস্তানি ধারায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সামরিক শাসনের অধীনে সংবিধানের মূলনীতি পরিবর্তন করে দেশকে পশ্চাৎমুখী করা হয়েছিল। এখন শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ দেশের ৯৫ শতাংশ মানুষের স্বার্থের বিপরীতে পুঁজিবাদী মুক্তবাজার অর্থনীতির ধারাতেই দেশ পরিচালনা করছে। তাঁরা সমাজতন্ত্র ও অসাম্প্রদায়িকতা বর্জন করে সাম্রাজ্যবাদী ও সাম্প্রদায়িক শক্তিকে তোষণ করে ক্ষমতায় টিকে আছে।’

সিপিবির উপদেষ্টা কমরেড মনজুরুল আহসান খান বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু হচ্ছেন ইতিহাসের মহানায়ক। সপরিবার তাঁকে হত্যার মধ্য দিয়ে দেশে পাকিস্তানি ধারা পুনঃপ্রবর্তন হয়েছিল। আওয়ামী লীগ নেতারা খুনিদের কাছে আত্মসমর্পণ না করলে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের প্রতিরোধ করা যেত।’

সিপিবির সাধারণ সম্পাদক কমরেড রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, ‘১৯৭৫ এর আগে থেকেই আমাদের দেশে পুঁজিবাদী ধারা শুরু হয়েছিল। এই সুযোগে দেশি-বিদেশি প্রতিক্রিয়াশীল চক্র ১৫ আগস্ট তাদের ষড়যন্ত্র কার্যকর করে। তিনি চার মূলনীতিসহ মুক্তিযুদ্ধের মূলভিত্তি পুনঃপ্রতিষ্ঠার আহ্বান জানান।

সিপিবির সাবেক সভাপতি, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কমরেড মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, ‘দেশ একটি ভয়াবহ পরিস্থিতির দিকে পৌঁছে গেছে। অর্থনীতি চরম বিপর্যয়ের দিকে। এসময় সরকারের উদ্যোগ মানুষের বিপরীতে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে বৈষম্য বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের মুক্তিযুদ্ধ ছিল একটি প্রগতিশীল অগ্রগতি। এই অগ্রগতি ধরে রাখা যায়নি। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে দেশকে পিছিয়ে নেয়ার চেষ্টা ছিল। এই হত্যাকাণ্ড ছিল রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়াশীল ঘটনা। আমরা অনেকদিন ধরে ট্রুথ কমিশন বা উচ্চতর কমিশন গঠন করে এই হত্যাকাণ্ডের দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র উন্মোচনের দাবি করে আসছি।

সিপিবির সহ-সাধারণ সম্পাদক কমরেড মিহির ঘোষ বলেন, ‘বর্তমান প্রজন্মের কাছে ইতিহাসকে স্পষ্ট করতে হবে। সাম্রাজ্যবাদী ষড়যন্ত্রের কারণে শেখ মুজিব সপরিবারে হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র উন্মোচন করতে পারলে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বিচার সম্পন্ন হবে।

কমরেড এ এন রাশেদা বঙ্গবন্ধুর বিভিন্ন উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, ‘শেখ মুজিবের নিজের বক্তৃতাই আজকের আওয়ামী লীগের সাথে সাংঘর্ষিক। বর্তমান আওয়ামী লীগ দুঃশাসনকে প্রতিষ্ঠিত করেছে।’

সভার শুরুতে বঙ্গবন্ধু ও ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডে নিহতদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

বাংলাদেশ জার্নাল/ওএফ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত