ঢাকা, বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৪ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৪ মিনিট আগে
শিরোনাম

সাম্প্রদায়িক উস্কানিদাতাদের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে: তথ্যমন্ত্রী

  চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

প্রকাশ : ১৯ আগস্ট ২০২২, ১৫:৩৯

সাম্প্রদায়িক উস্কানিদাতাদের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে: তথ্যমন্ত্রী
ছবি: প্রতিনিধি

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, হিন্দু মুসলিম বৌদ্ধ খ্রিস্টান সবার মিলিত রক্তস্রোতের বিনিময়ে এই দেশ রচিত হয়েছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে। শান্তির দেশে সাম্প্রদায়িক উস্কানি দিয়ে কেউ যেন শান্তি বিনষ্ট করতে নাপারে সেজন্য সবসময় সবাইকে সে ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।

তিনি বলেন, সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র ব্যবস্থা পাকিস্তান থেকে বেরিয়ে এসে অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র রাংলাদেশ রচিত হয়েছিল একটি অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র রচনার জন্য। কিন্তু বাংলাদেশে একটি রাজনৈতিক দল ও পক্ষ আছে যারা সাম্প্রদায়িকতাকে পূঁজি করে রাজনীতি করে। তারা নির্বাচন আসলে সাম্প্রদায়িক স্লোগান দেয়, আওয়ামী লীগকে গালাগাল করে বলে আমরা হিন্দুদের দল। আমরা সব মানুষের দল, হিন্দু মুসলিম বৌদ্ধ খ্রিস্টান সব মানুষের দল হচ্ছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।

শুক্রবার চট্টগ্রাম নগরীর আন্দরকিল্লা জেএম সেন হল থেকে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী উপলক্ষে মহাশোভাযাত্রার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, তারা সময়ে সময়ে সাম্প্রদায়িক উস্কানি দিয়ে বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের অপচেষ্টা চালায়। এই সাম্প্রদায়িক উস্কানি যখনই যারা দিয়েছে আমাদের সরকার সবসময় কঠোর হস্তে দমন করেছে। আর নির্বাচনের সময় যারা সাম্প্রদায়িক স্লোগান দেয়, সাম্প্রদায়িকতা সৃষ্টি করার অপচেষ্ঠা চালায়, মধুর মধুর কথা বলে, তাদেরকে আপনারা চেনেন। সুতরাং সময় আসলে তাদের ব্যাপারেও সতর্ক থাকার বিনীত অনুরোধ জানাই।

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, আপনাদের মনে আছে, গত দুর্গাপূজার সময় কুমিল্লায় যে ঘটনা ঘটানো হয়েছিল, আমি সেদিন অনেকটা নির্ঘুম রাত কাটিয়েছি। পরের দিন আমি নিজে ছুটে গিয়েছি রংপুরে। কারণ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আমি রংপুর এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত। এভাবে দেশে বিভিন্ন সময় সাম্প্রদায়িক উস্কানি দেয়া হয়।

আমাদের দেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, হিন্দু মুসলিম বৌদ্ধ খ্রিস্টান সবার মিলিত রক্তস্রোতের বিনিময়ে এই দেশ রচিত হয়েছে। এই দেশ আপনাদের, আপনারা কেউ হীনমন্যতায় ভুগবেন না। এই দেশের মাটিতে আপনারা জন্মগ্রহণ করেছেন, কেউ আঘাত হানলে প্রতিরোধ করবেন। আমরা আপনাদের পাশে আছি, আওয়ামী লীগ আপনাদের পাশে থাকবে, সরকার আপনাদের পাশে আছে।

হাছান মাহমুদ বলেন, শোভাযাত্রা সহকারে জন্মাষ্টমী উদযাপন চট্টগ্রামে যেভাবে হয় বাংলাদেশের আর কোথাও এভাবে হয় না। ছোটবেলা থেকে এই উৎসবে আমিও সামিল হয়েছি। চট্টগ্রাম ছাড়াও এই উৎসব অনেক জায়গায় হয়, কিন্তু এরকম জৌলুসপূর্ণ উৎসব কোথাও হয় না। সুতরাং চট্টগ্রামের এই অনুষ্ঠান অবশ্যই জাতীয় অনুষ্ঠান। জাতীয় অনুষ্ঠান বলেই গতকাল প্রধানমন্ত্রী এখানে অনলাইনে সংযুক্ত হয়েছিলেন।

তিনি বলেন, চট্টগ্রামে যখন দুগাপূজা হয় এই শহরে কেউ বিমানে কিংবা বাসে আসলে বুঝতে পারে এই শহরে একটি উৎসব চলছে। ঢাকাসহ অন্য শহরে সেটি বুঝা যায় না। এজন্য চট্টগ্রামের হিন্দু সম্প্রদায়কে নিয়ে আমি গর্ব করি। কারণ আমরা চট্টগ্রামের মানুষ নিজেদের দশ টাকা থাকলে আরো দশ টাকা ধার করে খরচ করি। সেইজন্য আমাদের উৎসব অন্যান্য যে কোন জায়গার তুলনায় অনেক বেশি হয়।

বাংলাদেশ জার্নাল/এসকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত