ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৬ মিনিট আগে
শিরোনাম

সিডিএ চেয়ারম্যান ও সচিবসহ পাঁচ কর্মকর্তাকে আদালতে তলব

  চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

প্রকাশ : ০১ সেপ্টেম্বর ২০২২, ২১:৫০  
আপডেট :
 ০১ সেপ্টেম্বর ২০২২, ২২:০৮

সিডিএ চেয়ারম্যান ও সচিবসহ পাঁচ কর্মকর্তাকে আদালতে তলব

আদালতের আদেশ অমান্য করায় চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষ প্রকাশ ডলফিন, সচিব আনোয়ার পাশাসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে সমন জারি করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের প্রথম শ্রম আদালত মোহাম্মদ তৌফিক আজিজ এ আদেশ দেন বলে জানিয়েছেন আদালতের বেঞ্চ সহকারী আলী নেওয়াজ খান।

বাকি তিন আসামি হলেন- সিডিএর উপ সচিব (ভারপ্রাপ্ত সচিব) অমল গুহ, সিডিএর প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস ও সিডিএর অর্থ ও হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাজের।

আসামিপক্ষের আইনজীবী সুখময় চক্রবর্তী বলেন, আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে সমন জারি করেন। আগামী ২৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে তাদেরকে আদালতে হাজির হতে বলা হয়েছে।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালে ১৩ মার্চ বৈধ ট্রেড ইউনিয়নের কার্যক্রমের কারণে সিডিএ উচ্চমান সহকারী ও চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ কর্মচারী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমানকে (টারমিনেশন) চাকরিচ্যুত করে। ওই সময় তিনি উচ্চমান সহকারী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ভুক্তভোগী চাকরি ফিরে পেতে তিনি চট্টগ্রামের প্রথম শ্রম আদালতে ওই বছরের ১ জুন মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নম্বর ০৯/২০১৪।

চলতি বছরের ২৪ জুলাই আদালত অপসারণ (টারমিনেশন) আদেশ বাতিল করে রায় দেন। রায় ঘোষণার ৩০ দিনের মধ্যে হাবিবুর রহমানের সকল বকেয়া বেতন ভাতা প্রদান পূর্বক স্বপদে ও সবেতনে চাকরিতে পুনর্বহালের নির্দেশ দেয়। রায়ের চার দিন পরে ২৮ জুলাই রায়ের অনুলিপি সংগ্রহ করে হাবিবুর রহমান স্বশরীরে সিডিএতে গিয়ে চাকরিতে যোগদানের পত্র দাখিল করেন। একই তারিখে যোগদানপত্র যথানিয়মে রেজিস্টেশন করে ডাকযোগেও পাঠানো হয়।

সর্বশেষ গেল ৩ আগস্ট পুনরায় যোগদানের জন্য মানবিক আবেদন ডাকযোগে পাঠান। তবে মামলার আসামিরা একে অপরের যোগসাজশে ইচ্ছাকৃতভাবে চাকরিতে পুনর্বহাল করেননি, যা আদালতের রায়ের প্রতি সরাসরি অবজ্ঞা প্রদর্শন করা। জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি নূর কুতুব আলম মান্নান (সিডিএ) চেয়ারম্যানকে ভুক্তভোগী হাবিবুর রহমান চাকরিতে যোগদানের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট মতামত প্রদান করে লিখিত সুপারিশ পত্র প্রেরণ করেন।

আদালত সূত্র জানায়, অথচ ৩০ কার্যদিবসেও আসামি ৫ জন পরস্পর পরস্পরের যোগসাজশে হাবিবুর রহমানকে যোগদান না করে, বকেয়া বেতন, ভাতা পরিশোধ না করে, মিথ্যার আশ্রয় ও ছলচাতুরির আশ্রয় গ্রহণ করেন বলে উল্লেখ করা হয়। ইচ্ছাকৃতভাবে ও অভ্যাসগতভাবে আইন ও আদালতে রায়-আদেশ, রোয়েদাদ, সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন ও অমান্য করার অভিযোগে শ্রম আইন ২০০৬ সালের ২৮৩, ২৯২, ২৯৩, ৩০৩ ও ৩০৭ ধারা অনুসারে গত ৩১ আগস্ট মামলা করেন হাবিবুর রহমান। মামলাটি আদালত গ্রহণ করেন।

বাংলাদেশ জার্নাল/এসকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত