ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৩৫ মিনিট আগে
শিরোনাম

অন্যের সন্তান দেখিয়ে মাতৃত্বকালীন ছুটি, প্রাথমিকের সেই শিক্ষিকা বরখাস্ত

  কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

প্রকাশ : ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৮:০৪

অন্যের সন্তান দেখিয়ে মাতৃত্বকালীন ছুটি, সেই শিক্ষিকা বরখাস্ত
ছবি: প্রতিনিধি

অন্যের সন্তান দেখিয়ে মাতৃত্বকালীন ছুটি ভোগ করা কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার মনিয়ারহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সেই শিক্ষিকাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা মেলায় আলোচিত শিক্ষিকা আলেয়া সালমাকে চাকরি থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছে কুড়িগ্রাম জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস।

বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রতিবেশীর সন্তান দেখিয়ে মাতৃত্বকালীন ছুটি ভোগ করার খবর প্রচারিত হয়। এরপর গত ৪ সেপ্টেম্বর সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এ কে এম তৌফিকুর রহমানকে তদন্তের দায়িত্ব দেয় শিক্ষা বিভাগ।

দুইদিন তদন্তের পর প্রাথমিক সত্যতা পায় তদন্তকারী। পরে সেই শিক্ষিকাকে গত ৬ সেপ্টেম্বর সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম, যা ৭ সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর হিসেবে গন্য হবে।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শহীদুল ইসলাম শিক্ষিকাকে বরখাস্তের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, প্রাথমিকভাবে ঘটনার সত্যতা পেয়েছে তদন্ত কমিটি। তাই তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। শিক্ষিকার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা রুজু করা হয়েছে। এছাড়াও এই ছুটি নেবার বিষয়ে যারা ওই শিক্ষিকাকে সহযোগিতা করেছেন তাদেরকে বিচার আওতায় আনা হবে।

তবে এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষিকার কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

উল্লেখ্য, আলেয়া সালমা শাপলা কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার মনিয়ারহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা। তার স্বামী শফি আহমেদ স্বপন বগুড়ার গাবতলী উপজেলা কাগইল ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এবং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক আহ্বায়ক।

অভিযুক্ত শিক্ষিকা তার নিকটতম এক প্রতিবেশীর শিশুকে নিজের নবজাতক সন্তান দাবি করে চলতি বছরের ১৪ মার্চ থেকে ছয় মাসের মাতৃত্বকালীন ছুটিতে ছিলেন। বর্তমানে স্বামীর সঙ্গে বগুড়ার গাবতলী কাগইল ইউনিয়নের বাড়িতে বসবাস করছেন তিনি। ওই শিশুটি তাদের প্রতিবেশী আনিছুর রহমান পাশা ও শারমীন দম্পতির বলে জানা গেছে।

বাংলাদেশ জার্নাল/এসকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত